পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য আরও ভালো আশা, প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঢাকা আগামী বছরের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি বলেন, আসুন আমরা বাংলাদেশের জন্য আরও ভালো, আরও উন্নত রূপান্তরের জন্য কঠোর পরিশ্রম করি, তাহলে যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দিনব্যাপী ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশন (এফওএসএ) ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছর বাংলাদেশ অনেক ত্যাগ ও রক্তপাত দেখেছে। আমরা অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছি যারা এখন আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাদের বীরত্বকে আমরা স্মরণ করি এবং উপলব্ধি করি। আসুন আমরা তাদের এ ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কাজ করি।
বৈশ্বিক বিষয়াবলী সম্পর্কে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা, মৃত্যু ও ধ্বংস, অযৌক্তিকতা ও উন্মাদনা, অন্যায় ও অবিচার রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আসন্ন বছরে আমরা অলৌকিক কিছু দেখার আশা করতে পারি না। কিন্তু আমাদের একটি অংশ হতাশা এবং ধ্বংস দেখার আশা করে। সুতরাং আমরা আশা করি বিশ্বের একটি ভালো রূপ আমরা দেখতে পাব। এর জন্য আমাদের কাজ করা দরকার।
এফওএসএ প্রসঙ্গে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরার কারণে এর একটি প্রতিনিধিত্বমূলক দিক রয়েছে। এটি (এফওএসএ) একটি সংযোগকারীর ভূমিকা রাখে। কারণ বিভিন্ন সংস্কৃতিতে আমাদের বন্ধুদের সংযুক্ত করে। এটি চ্যারিটির ক্ষেত্রে কাজ করার পাশাপাশি মানবিক দিকও রয়েছে।
বাংলাদেশ আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি জিনাত আরা প্রধান অতিথি হিসেবে চ্যারিটি মেলার উদ্বোধন করেন।
ঢাকায় অবস্থানরত বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এফওএসএ দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। এটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সংগঠন যা জনহিতকর কাজের জন্য সুপরিচিত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।