কক্সবাজারের টেকনাফে একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও স্থায়ী দুটি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক যুবক নিহত ও নারী, শিশুসহ চার রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সড়ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার রাত ১০টার দিকে জেলার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াবাজারে স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক যুবক নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
নিহতে যুবকের নাম আব্দুর রহমান। জানা গেছে, তিনি ওই এলাকার সাতঘরিয়া পাড়ার আব্দুর ছালামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নয়াবাজারের সাতগড়িয়া পাড়ায় জাহেদ ও আব্দুর রহমান গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে জাহেদ গ্রুপ এসে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে আব্দুর রহমান নিহত হন। খবর পেয়ে জাহেদ ও তার গ্রুপের কয়েকজনের বাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার মোছনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নারী, শিশুসহ চার রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, তারা রাতে কেউ ঘরে কাজ, আবার কেউ বাইরে হাঁটছিলেন। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এসে তাদের ওপর গুলি করে পালিয়ে যায়। তাদের গুলিতে এক পরিবারের নারী শিশুসহ চার জন গুরুত্বর আহত হয়। পরে আশপাশের রোহিঙ্গারা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করায়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎস্যরা বলেছেন, গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।