সকল মেনু

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ১৮ দফা সুপারিশ

অপরিকল্পিত নগর পরিবহন ব্যবস্থার কারণে ঢাকা শহর পরিণত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম যানজটপ্রবণ নগরে। এ সমস্যা নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছেন আলোচকরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট কর্তৃক জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে আয়োজিত ‘যানজটের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আলোচকরা এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

আয়োজনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের কর্মসূচি প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ এবং ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম গবেষক ও ট্রাফিক্সের সিইও আশরাফুল আলম রতন।

আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান, আইনজীবী ও নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম সুজন, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের নির্বাহী সদস্য মারুফ হোসেন, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ।

বক্তারা বলেন, গণপরিবহনের সিটি সার্ভিস এবং অন্যান্য সার্ভিসের জন্য পৃথক নীতিমালা, সহায়ক আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। প্রকল্প ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাজ করার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যানজট হ্রাসে সফলতা আসেনি। ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘস্থায়ী উদ্যোগ থাকা প্রয়োজন, যেন তারা অন্তত পাঁচ বছর একাধারে কাজ করতে পারেন। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প খরচে ট্রাফিক সিস্টেমের সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। সড়ক পরিবহন আইনটি পূর্ণাঙ্গ নয়। এই আইনের সংশোধনে কাজ করা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে শহরের পরিবহন পরিকল্পনায় নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সমাধানে ফিটনেসহীন বাস অপসারণ, গণপরিবহনের মান উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য পৃথক বাস প্রচলন, রাস্তায় একদিন জোড় এবং একদিন বেজোড় সংখ্যার ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিটিসিএ-এর মাধ্যমে সমন্বিত মনিটরিং কমিটি-টাস্কফোর্স কমিটি গঠন এবং নিয়মিত মনিটরিং করা, রাস্তায় অবৈধ পার্কিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, নগর পরিবহনের জন্য পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, সড়কে যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা, সায়েদাবাদ, গাবতলী এবং মহাখালী আন্তটার্মিনাল সংযোগ তৈরি, নগরীর ট্রাফিক রুট পুনঃবিন্যাস, সড়ক ব্যবস্থাপনায় অধিক গুরুত্বারোপ, প্রধান সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রত্যাহার, যানজট নিরসনে স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বিআরটিসিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করে একক কোম্পানির মাধ্যমে নগরীর বাস পরিষেবা চালু করাসহ ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top