সকল মেনু

‘খালেদা নিজেই বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, এর দায় সরকারের নয়’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, সেখানে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে দায় সরকারের নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি অ্যাম্বুলেন্স, ইঞ্জেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত ড. সুবল রোজারিওর গবেষণাগ্রন্থ হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব জুয়েল কবির রচিত আমি প্রীতিলতা নাট্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকাশক সফিক রহমান।

সম্প্রতি ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকারের ওপর বিষোদগার করেন রুহুল কবির রিজভী। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় মির্জা ফখরুলের মতো রিজভীও কেঁদেছেন কি না- এমন প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই। শুধু ভারত নয়, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির জন্য কাজ চলছে। আর আমাদের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।

ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা নেপাল ও ভুটানে যেতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ভারতের ওপর দিয়ে আমরা এরই মধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি-বিনিময় চুক্তি নেই, সেটি একটি প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে, বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে আরও যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। এ বিষয়ে তিনি বেলজিয়ামে নিজের পিএইচডি অর্জনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top