সকল মেনু

সিলেটে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে রেড ক্রিসেন্ট চেয়ারম্যান

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর চৌধুরী।

শুক্রবার তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় রেড ক্রিসেন্ট সবসময় নিবেদিত জানিয়ে অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের যুব স্বেচ্ছাসেবকরা সার্বক্ষণিক মাঠে থেকে নিরাপদ খাবার পানি বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তামূলক কাজে নিয়োজিত আছে।

সফরকালে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে সোসাইটির বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী। তিনি লাইফ জ্যাকেট পরে সুরমা নদীতে নৌকায় করে নিজ হাতে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য দুর্গত এলাকায় যান। এসময় সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য মস্তাক আহমদ পলাশ, আইএফআরসি’র হেড অব ডেলিগেশন আলবার্তো বোকানেগ্রা, সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কর্মকর্তা ও যুব স্বেচ্ছাসেবকসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বন্যায় খাবার পানির সংকট দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ৩টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১৫০০ লিটার পানি বিশুদ্ধ করা যায়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টায় এই প্ল্যান্টের দ্বারা পানি বিশুদ্ধ করে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে পানি বিতরণ করছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের স্বেচ্ছাসেবকরা।

এছাড়াও সিলেট ও মৌলভীবাজারে বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রেড ক্রিসেন্ট। এরইমধ্যে শুকনো খাবার ক্রয়বাবদ সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে সোসাইটির পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ঔষধসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top