সকল মেনু

সেই আম্পায়ারকে ধুয়ে দিলেন ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তোলে প্রোটিয়ারা। জবাবে ২০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১০৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাকিব-লিটনরা।

এদিকে বাংলাদেশ যখন সহজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল, তখন সব হিসেব উলটপালট করে দেয় আম্পায়ারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্ত।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউটের শিকার হন ৩৪ বলে ৩৭ রান করা তাওহীদ হৃদয়। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হৃদয় ভাঙে কোটি বাংলাদেশির।

এদিকে আম্পায়ারের এমন বাজে সিদ্ধান্তের পর ক্রিকবাজের আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল।

আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে তার ভাষ্য, ‘ধরা যাক, বিষয়টা ফাইনালে হলো। কিংবা বলা যাক, (বাংলাদেশের বদলে) ভারত ছিল বিপরীতে দিকে। সেটাও হোক একটা ফাইনালে। তাহলে পুরো ম্যাচজুড়ে এমন কিছু (আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত) করে যাওয়া খুব কঠিন হতো।’

অন্যদিকে ইনিংসের ১৭তম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের পরিস্থিতিও টাইগারদের নাগালেই ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার ওটেনিল বার্টম্যানের একটি ডেলিভারি ফ্লিক করতে গেলে মাহমুদউল্লাহর প্যাডে লেগে যায়। অনেকটা দ্বিধা নিয়েই আঙুল তুলেছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। এতে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বল লেগ-স্ট্যাম্প মিস করেছে। ফলে বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ।

রিয়াদের প্যাডে লেগে বল বাউন্ডারি পার হয়ে গিয়েছিল। লেগবাই হিসেবে ৪ রান পেত বাংলাদেশ। কিন্তু আম্পায়ার শুরুতে আউট দেওয়ায় বল ডেড হয়ে বাতিল হয়ে যায় সেই ৪ রান। তাই ডুল মনে করেন, ‘একেবারে বন্দুকধারীর মতো দ্রুতগতিতে আম্পায়ার হাত তুলেছে। এটা বাজে সিদ্ধান্ত ছিল। আর আমাদের বলতেই হবে পুরো টুর্নামেন্টেই আমরা খুব ভালো কিছু আম্পায়ারিং দেখেছি। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা ছিল না। তার চেয়ে বড় কথা, লেগবাইয়ে ৪ রান হওয়া দরকার ছিল।’

সাইমন ডুলের মন্তব্য, ‘আমি বলতে চাইছি, যেভাবে এই পদ্ধতি কাজ করছে, সেখানে কিছু একটা পরিবর্তন অবশ্যই আনতে হবে। কারণ, এটা বিশ্রী একটা ভুল। একেবারেই বাজে সিদ্ধান্ত। কোনোভাবেই বলটা (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আউট সম্পর্কে) স্ট্যাম্পে আঘাত করতো না।’

আম্পায়ার্স কল প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘ধরা যাক, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ বলে এটা ঘটলো। আর একটা দল এমন বাজে সিদ্ধান্তের কারণে হেরে গেল। যেভাবে এইসব চলছে, তাতে কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে। কারণ, এখন প্রায়ই এসব হচ্ছে। প্রতিবারই এমন কিছু প্রশ্ন আমি করেছি আইসিসি টুর্নামেন্টের আগে বা পরে। তখন তারা বলে, আমাদের এখানে কিছু করার নেই। এটা খেলার ফলাফলে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

সাইমন যোগ করেন, ‘মাহমুদউল্লাহকে ভুলভাবে আউট দেয়া হয়েছিল, আমি জানি না কীভাবে এই পরিবর্তন আসবে, কবে এই পরিবর্তন হবে। তবে কিছু একটা পরিবর্তন অবশ্যই আসতে হবে। এগুলো ম্যাচের ফল বদলে দিচ্ছে। আর আমরা এমনটা হতে দিতে পারি না।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top