সকল মেনু

মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এই আস্থার জায়গাটা এখনো রয়ে গেছে, সেটাই আমাদের বড় শক্তি।

তিনি বলেন, নির্বাচনটাই যেন না হয় সে জন্য অনেক আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ছিল। নির্বাচন করা যাবে না, এই ধরনের একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। সেজন্য বিরোধী দল নির্বাচনে আসবে না। কারণ তারা জানত নির্বাচন তো হবেই না। কাজেই ইলেকশনে আসবে না।

শুক্রবার (৭ জুন) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যে বদলে গেছে, এটা যে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, সেটা ধরেই আমারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। সে ক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ, আপনাদের বক্তব্য এগুলো জানা দরকার। ব্যস্ততার কারণে আগের মতো ঘন ঘন মিটিং করা এখন আর সম্ভব হয় না।

গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য দিয়ে একটি টিম গঠন করে দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। ওই টিমের সদস্যসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা আমরা অর্জন করতে পেরেছি। এই আস্থার জায়গাটা এখনো রয়ে গেছে, সেটাই আমাদের বড় শক্তি। কারণ নির্বাচনটাই যেন না হয় সে জন্য অনেক আন্তর্জাতিক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ছিল। নির্বাচন করা যাবে না, এই ধরনের একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। সেজন্য বিরোধী দল নির্বাচনে আসবে না। কারণ তারা জানত নির্বাচন তো হবেই না। কাজেই ইলেকশনে আসবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরে একটা চক্রান্ত ছিল। এগুলো আমরা কিছুটা বুঝতে পারি। যার জন্য আমরা এবার একটা রিস্ক নিয়েছিলাম। রিস্কটা হলো, আমি নির্বাচনটা ওপেন করে দিয়েছিলাম। আমি নমিনেশন দিলাম সত্য, কিন্তু সেই সঙ্গে ওপেন করে দিয়ে বললাম, যে কেউ চাইলেই দাঁড়াতে পারে। হয়ত এমন হতে পারত, যারা দাঁড়িয়েছে তারাই বেশি আসন পেল, আমরা পার্টিগতভাবে কম পেলাম। কিন্তু সেটা হয়নি। তবে এই ওপেন করে দেওয়াতে যেটা হয়েছে তা হলো ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা এককভাবে ২৩৩টা আসন পেয়েছিলাম, এবার ২২৩টা পেয়েছি। কারণ আমাদের স্বতন্ত্র অনেকেই জয়ী হয়ে এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপজিশনের অবস্থা খুবই করুণ। কারণ বিএনপি তো ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল। অনেকেই ভাবত আওয়ামী লীগ বিএনপি সমান সমান। সিট-ভোট সমান সমান হবে। হয়ত একটা হ্যাং পার্লামেন্ট হয়ে যাবে, এ রকম একটা চিন্তা ছিল। কিন্তু দেখা গেল মানুষের আস্থা-বিশ্বাস আওয়ামী লীগের উপর। ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো দিন প্রশ্ন তোলেনি, তুলতেও পারেনি। যারা বিরোধী দলে তারাও করতে পারে না। সেই নির্বাচনে মহাজোটে থাকলেও এককভাবে আওয়ামী লীগ ২৩৩টা সিট পেয়েছিল। আর এবার পেয়েছে ২২৩টা। এর মাঝে আরও দুটি নির্বাচন হয়ে গেছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে। ওই নির্বাচনগুলো বানচাল করার জন্যই অগ্নি-সন্ত্রাস, মানুষ পোড়ানোসহ নানা ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। এবারও নির্বাচনে বাধা দিতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু শত বাধা অতিক্রম করে মানুষ ভোট দিয়েছে এবং আমরা আবার জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুর, নুরুল ইসলাম নাহিদ, খন্দকার গোলাম মওলা নকশাবন্দিসহ উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top