আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিএনজি স্টেশনগুলো ঈদের ৭ দিন আগে থেকে এবং ৫ দিন পর পর্যন্ত সারাদিন খোলা থাকবে। এ সময় নো হেলমেট, নো ফুয়েল। মন্ত্রী এমপির লোক বলেও যেন কেউ পার না পায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বনানীর বিআরটিএর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে দুর্ঘটনা বাড়ে। দুর্ঘটনা রোধ করা সরকারের দায়িত্ব। দুর্ঘটনা কমানো না গেলে অর্থাৎ ফলাফল পাওয়া না গেলে মিটিংয়ের নামে আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নাই।
ঈদের সাত দিন আগেই ভাঙা সড়ক মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজীপুরের সাতটি ফ্লাইওভার চালু করা হয়েছে। এতে যানজট কমেছে। গার্মেন্টস ছুটির কারণে চন্দ্রায় ঝামেলা হয়। চন্দ্রা রুটে যে রাস্তায় কাজ চলছে সেগুলো সাত দিন বন্ধ রাখতে হবে। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে যানজট হয়। ফ্লাইওভারের নিচে জটলা সৃষ্টি হয়। এটা পরিকল্পিত কিনা জনস্বার্থে দেখতে হবে।
সিটি করপোরেশনকে ঈদের সময় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন বাস যেন চলাচল করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ঢাকা শহরে লক্কড়-ঝক্কড় বাস দেখতে ভালো লাগে না। লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি রং দিয়ে লাভ নাই, ফিটনেস গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে, বাস মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিচে নেমে গেছে। ভালো গাড়ি তারা চালায় না। এজন্য সিটি করপোরেশন ও বিজিএমইএর সঙ্গে আলাদা আলোচনা করা দরকার।
ওবায়দুল কাদের জানান, ঈদের সময় যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে যানজটের ১৫৫টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া, দেশের সব বাস টার্মিনাল ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং সড়কপথে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রী, এমপি যার লোকই হোক না কেন, হেলমেট ছাড়া ফিলিং স্টেশন থেকে কোনোভাবে জ্বালানি তেল দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।