সকল মেনু

প্রচণ্ড গরমে বিপাকে জনজীবন, সহসাই মিলছে না স্বস্তি

নীলফামারীতে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তাই সহসাই স্বস্তি মিলবে না ।

গরমে ভোগান্তি বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। সর্বশেষ বৃষ্টির দেখা মিলেছিল গত ৯ মে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নীলফামারী সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নীলফামারীতে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ তীব্র তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

গরমে হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগী। দীর্ঘ খরায় হুমকির মুখে পড়তে পারে এবার ফসল উৎপাদন। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির পাশাপাশি বিরূপ আবহাওয়ায় ফসল উৎপাদন এখন বড় চ্যালেঞ্জ কৃষকদের।

রামগঞ্জ এলাকার ভ্যানচালক লোকমান আলী বলেন, এত গরমে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে গাছের নিচে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার চালাই। সংসারে অনেক খরচ, তাই বসেও থাকতে পারি না।

দোকানদার আব্দুর রহমান বলেন, গরমে দোকানে ক্রেতা আসছে না। মুরগি গুলো গরমে হাঁসফাঁস করছে। সকাল থেকে দুপুর পযর্ন্ত ক্রেতা বাজারে আসে না, বিকেলের দিকে একটু বেচাকেনা হয়।

ইটাখোলা ইউনিয়নের মিজানুর রহমান বলেন, তীব্র গরমে পাকা ধান কাটতে পারছি না, ধান কাটতে গেলে আগুনের মতো গরম যেন মাথায় লাগে।

নীলফামারী আবহাওয়া অফিসের অফিস ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, মে মাসে গরমের প্রভাব এবার বেশি। নীলফামারী জেলায় ইতিহাসে গেলো ১৫ বছরে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নীলফামারীতে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এতে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top