সকল মেনু

গাছে গাছে লিচুর মুকুল, রেকর্ড ফলনের আশা চাষিদের

লিচুর মুকুল সুগন্ধি ছড়াচ্ছে চারদিক। থোকায় থোকায় হলুদ রঙের মুকুলে গাছগুলো ছেয়ে গেছে। ‘লিচু রাজ্য’ হিসেবে পরিচিত পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার রেকর্ড পরিমাণ লিচু উৎপাদনের আশা করছেন চাষি ও বাগান মালিকরা। সারাদেশে কমবেশি লিচু চাষ হলেও এখানকার লিচুর রয়েছে আলাদা কদর।

কৃষকরা জানান, বেশিরভাগ গাছে লিচুর মুকুল আসায় এবারে ফলন অনেক ভালো হবে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় লিচু বাগানের ওপর নির্ভরশীল বাগান মালিক ও লিচুচাষির এবার আর্থিকভাবে ভালবান হওয়ার আশা করছেন। গত বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঈশ্বরদীতে লিচুর ফলনে চরম বিপর্যয় ঘটেছিল। মুকুল না আসায় বিশেষ করে বোম্বাই জাতের লিচুর ফলন ৬০ ভাগ কমে যাওয়ায় সেসময় হওয়ায় লিচু চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

মানিকনগর গ্রামের বাগান মালিক নয়ন বিশ্বাস বলেন, এবার আবহাওয়া লিচু চাষের জন্য অনুকূলে। প্রতিটি লিচু গাছে পর্যাপ্ত মুকুল এসেছে। গত বছর ফলন ভালো না হওয়ায় বাগান মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার বাগান মালিক, চাষি ও ব্যবসায়ী সবাই লাভবান হচ্ছে বলে আশা করছি।

মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামের লিচু চাষি সাইদুল ইসলাম বলেন, এবার গাছে গাছে লিচুর মুকুল দেখে আমরা খুব আশাবাদী বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে।

উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী গ্রামের কৃষক লিচু চাষে জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কিতাব মণ্ডল ওরফে লিচু কিতাব বলেন, ঈশ্বরদীর কৃষি অর্থনীতি লিচু চাষের ওপর নির্ভরশীল। লিচু বাগানের আয় থেকে এসব কৃষকদের সারা বছরের ভরণ-পোষণ নির্ভর করে। এবার মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে বাগান। গতবারের মতো এবার লিচুর ফলন বিপর্যয়ের শংকা নেই। গাছে গাছে প্রচুর মুকুল দেখে মনে হচ্ছে এবার বাম্পার ফলন হবে।

ঈশ্বরদী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, লিচু ঈশ্বরদীর প্রধান অর্থকরী ফসল। প্রতিটি গাছে তিন হাজার থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত লিচু ধরে। এ উপজেলায় এবার ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top