সকল মেনু

যুদ্ধের জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধের জন্য ভারতীয় সেনারা সদা প্রস্তুত রয়েছে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ডিফেন্স সামিটে চীনকে উদ্দেশ্যে করে এমন সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন তিনি।

রাজনাথ সিং বলেন, আমাদের সবসময়ই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। এমনকি, শান্তির সময়েও আমাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা এখনো কারও ওপর আক্রমণ করিনি, কারও জমিও দখল করিনি।

‘তবে কেউ যদি আমাদের ওপর আক্রমণ করে, তাহলে তার পাল্টা জবাব আমরা অবশ্যই দেব। জল-স্থল কিংবা আকাশ পথে ভারতকে কেউ আক্রমণ করলে তার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’

রাজনাথ সিংয়ের এই মন্তব্য এমন সময় এলো যখন চীন ভারতের চারপাশে নিজের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে আবার মালদ্বীপে চীনের সামরিক উপস্থিতি মোদী সরকারের দুশ্চিন্তা বহুগুণ বাড়িয়েছে। চীনপন্থি নেতা মোহামেদ মুইজ্জু দ্বীপরাষ্ট্রটির ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মালদ্বীপের পাশাপাশি চীনকে নিয়েও ভারতের উদ্বেগ বেড়েছে।

সম্মেলনে ভারত বিভিন্ন দিক দিয়ে যে বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন রাজনাথ সিং। এসময় তিনি কাশ্মীর ও লাদাখে চীনের সঙ্গে ভারতের চলমান উত্তেজনা নিয়েও কথা বলেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর প্রায় চার বছর ধরে সেখানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ভারত ও চীনের সেনারা।

ভারতের বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, ওই সংঘর্ষের সময় থেকে পূর্ব লাদাখে ২ হাজার বর্গকিলোমিটার ভারতীয় জমি দখল করে রেখেছে চীন। কিন্তু ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, ভারতের কোনো জমি চীনের দখলে নেই। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন হলো, চীনের দখলে যদি কোনো জমি না থাকে, তাহলে সীমান্ত অবস্থান নিয়ে কেন দুই দেশ এখনো আলোচনা চালাচ্ছে। বিরোধীদের এই অভিযোগের সদুত্তর আজও পরিষ্কারভাবে দিতে পারেনি মোদী সরকার।

এদিকে, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেই ‘সামরিক সহযোগিতার’ ক্ষেত্র বাড়াতে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে মালদ্বীপ। এই চুক্তিকে দক্ষিণ এশীয় দেশটির ভারতীয় বলয় থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে চীন-ভারত সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বারবার সেই অবনতির কথা জানিয়ে বলেছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সম্পর্কও স্বাভাবিক হবে না। সেই আশা করাও অন্যায়।

সূত্র: এনডিটিভি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top