মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক নিয়ে সরকার সংকটে রয়েছে। নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোহিঙ্গাদের প্রতি আর উদার হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে আবারও সীমান্তে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা একবার উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলাম। এখন সেই উদারতা দেখানোর আর কোনো সুযোগ নেই।’
২০১৭ সালে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক যে সাহায্য ছিল, সেটা অনেক কমে গেছে। এমন অবস্থায় এই বোঝা আমরা আর কতদিন বইবো?’
মিয়ানমারের সংকটকে আভ্যন্তরীণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। আরাকান আর্মিদের তাদের দেশের সমস্যা। তাদের ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে তারা কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার। তাদের সমস্যার জন্য আমাদের এখানে যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগ না হয়, সে বিষয়ে যারা যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সঙ্গে কথা বলব।’
মন্ত্রী জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতে গিয়েছেন। চীনের সঙ্গেও এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে। বিজিপির যে সদস্যরা পালিয়ে এসেছেন, তাদের ফেরত নিতে এরইমধ্যে মিয়ানমার সরকারকে বলা হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়েছে।
মিয়ানমার ইস্যুতে বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রনীতিকে নতজানু হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এমন মন্তব্য নিয়ে চিন্তা করা অথবা কথা বলার সময় নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনে না আসা, আন্দোলনে ব্যর্থতা সব মিলিয়ে তাদের মধ্যে অনেক হতাশা। এসব হতাশা থেকেই তারা এখন আবোল-তাবোল উক্তি দিচ্ছে। আমাদের বিরোধিতা করতে কিছু না কিছু তো তাদের বলতেই হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের খারাপটাই বলতে হবে। এগুলোর কোনো বাস্তবতা নেই। আর এগুলো নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথাও নেই।’
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।