সকল মেনু

‘চিকিৎসকদের ওপর অযাচিত হামলা হলে, উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসারত দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শরিয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত তানিম তন্মীর শারীরিক অবস্থার সরেজমিন খোঁজ নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সেখানে উপস্থিত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. নুসরাত তানিম তন্মীর সাথে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ নেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডা. নুসরাত তন্নীর উপর হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে বলে ডা. নুসরাত তানিমকে আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, “শরিয়তপুর জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়ার পর ইতোমধ্যেই সেখানে মুল আসামীদের আটক করেছে প্রশাসন। বাকি সন্ত্রাসীদেরও গ্রেফতারে কাজ চলছে। চিকিৎসকদের উপর যত্রতত্র হামলা হলে সেটি আর মেনে নেওয়া হবে না। হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”

উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন শরিয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত তানিম তন্নী। হামলায় আহত অবস্থায় তিনি (ডা. নুসরাত তানিম) চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরত আছেন।

বিএসএমএমইউ-তে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ডা. নুসরাত তানিমকে দেখতে গেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ডা. নুসরাত তানিম তন্নী জানান, নিম্নমানের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে রাজি না হওয়ায় ল্যাব এইড ফার্মার একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শহীদুল ইসলাম মৃধার সাথে স্থানীয় নেতা জুলহাস মাতবর, লিখন মাতবর সহ প্রায় ১০-১৫ জন তার উপর এই হামলা চালায়। হামলায় ডা. তন্নী ও তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাফিও আহত হন। আহত অবস্থায় বাসায় পৌছালে হামলাকারীরা পুনরায় বাসায় গিয়ে আবারো তাদের উপর হামলা চালায়। বাঁধা দিতে গেলে ডা. তন্নীর মাও হামলার শিকার হোন। পরবর্তীতে রাতে ডা. তন্নী ও তার মাকে শরিয়তপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান ডা. তন্নী।

উল্লেখ্য, ডা. তন্নী হাসপাতালের বিছানা থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে ফোন করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেদিনই ডা. তন্নীর সাথে বিস্তারিত কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ শরিয়তপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেন এবং দ্রুততম সময়ে সন্ত্রাসী আসামীদের গ্রেফতার করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এর প্রেক্ষিতে সেদিন রাতেই মূল আসামী মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শহীদুল ইসলাম এবং পরদিন সকালে স্থানীয় নেতা জুলহাস মাতবর কে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অন্যান্য আসামীদেরও দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি ডা. তন্নী ও তাঁর পরিবারের আহত সদস্যদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্বোচ্চ র্নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, এর পূর্বেও গত ২৯ জানুয়ারি যশোর চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনৈক এক রোগীর চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ হামলার শিকার হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এর নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ঐদিন রাতেই মামলা গ্রহণ করে আসামিকে যশোর থেকে আটক করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top