সকল মেনু

মুক্তার মতো দাঁত পেতে প্রাকৃতিক পদ্ধতি

adside5মেহেদী হাসান নিয়াজ, হটনিউজ২৪বিডি.কম: ঝকঝকে সাদা সুন্দর দাঁত কার না কাম্য। চেহারা যত সুন্দরই হোকনা কেন একজন মানুষের দাঁত যদি সুন্দর  না হয় তবে তার সৌন্দর্যের সবই যেন মাটি। দাঁতের পধারঃরবং এর মূল কারণ চিনি এবং খাদ্যের রাসায়নিক পদার্থ। মিষ্টি জাতীয় খাবার আপনার দাঁতের প্রধান শত্রু। তাই যতটা সম্ভব এ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। যা আপনার দাঁতের অনেক সমস্যা সরাতে সাহায্য করবে। আর মানব দেহের অপরিহার্য এই অঙ্গটি ঝকঝকে সাদা করার বিভিন্ন প্রাকৃতিক সমাধান আছে যদিও, অনেক মানুষ এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানে না। ডেন্টিস্টের কাছে না গিয়েও আপনি ঝকঝকে সুন্দর দাঁত পেতে পারেন প্রাকৃতিক কয়েকটি পদ্ধতির মাধ্যমে।  নতুনখবর পাঠকদের  জন্য আমাদের আজকের এ আয়োজন।

আপেলঃ-
প্রতিদিন একটি আপেল রাখেন আপনার খাদ্য তালিকায় এর সধষরপ অ্যাসিড  দাঁতের দাগ দূরীভূত করে দাঁত ঝকঝকে রাখতে সাহায্য করে।

সবজিঃ-
শসা, ব্রকুলি, সেলারি এবং গাজর নিয়মিত খেলে প্রাকৃতিক ভাবে দাঁত সাদা হয়।

পানিঃ-
প্রতিবার খাওয়ার পরে পানি দিয়ে কুলিকুচি করুন। যা খাবার পর আপনার দাঁতে লেগে থাকা  অবশিষ্টাংশ খাদ্য সরিয়ে দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করবে। পানি আপনাকে দাঁতের মার্জনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

স্ট্রবেরিঃ-
দাঁত মজবুত ও চকচকে রাখতে প্রতিদিন স্ট্রবেরি খাওয়ার চেষ্টা করুন। কিছু কিছু  ফলে প্রাকৃতিকভাবেই দাঁত মজবুত করার ক্ষমতা রাখে। যা দাঁতের হোয়াটনেস বা ব্লাশার হিসাবে কাজ করে। যেমন কিশমিশ, স্ট্রবেরি এতে প্রাকৃতিক হোয়াট এজেন্ট থাকে এবং দাঁত ঝকঝকে করার এবং ব্লাশারের জন্য জনপ্রিয় প্রাকৃতিক উপায়।
আপনার দাঁতের সংস্পর্শে এসে স্ট্রবেরি একপ্রকার পেস্ট তৈরি করে, স্ট্রবেরি অ্যাসিড ও চিনির ক্ষতি হতে আপনার দাঁতকে রক্ষা করবে। প্রতিদিন স্ট্রবেরি  দাঁতে ও মাড়িতে ম্যসেজ করলে  আপনার দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন হবে না।

কিশমিশঃ
কিশমিশ খেলে মুখের ভেতর উচ্চ মাত্রার লালা উৎপাদন হয় এই লালা দাঁতের প্লেক দূর করে দাঁতকে আরও মজবুত
হতে সাহায্য করে।

পনিরঃ-

সাম্প্রতি এক গবেষণা দেখা গেছে, খাওয়ার পর এক টুকরা পনির দাঁতের ক্ষয় রোধ এবং পুনরগঠনে সহায়ক। দাঁতের ক্ষয়রোধের প্রধান খনিজ উপাদাণ হলো ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দুধ এবং দই এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা আপনার দাঁতকে ক্যাভিটিজ মুক্ত করে দাঁতে শক্ত মজবুত এ্যনামেলের স্তর তৈরি করতে সাহায্য করে। আপনার দাঁতের সুস্থ্যতা রক্ষায় পনির শক্তিশালী ক্যালসিয়াম তৈরি ও ফসফেট রিপ্লেনেসিং করে।

ভিনেগারঃ-
কিছুটা ভিনেগার নিয়ে কুলিকুচি করুন। কিংবা ব্রাশে নিয়ে দাঁত মাজুন। দেখবেন রূপার ঝিলিক দেবে আপনার দাঁতে।

ব্রাশ ও ফ্লাসঃ-
বিবর্ণ দাঁতের দাগ অপসারণ করতে ব্রাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ্ধতি । ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লাসিং করা। নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লাস দাঁত পরিষ্কার করে দাঁতের ক্ষয় রোধ ও দাঁতের  বিবর্ণতা  দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বেকিং সোডাঃ

বেকিং সোডা শুধুমাত্র যে দাঁত সাদা করে তা নয় ,এটি এমনকি উপাদান যা দাঁতের মাজন আবিষ্কারের আগ থেকে শতাব্দী ধরে ঝকঝকে সাদা সুন্দর ও মজবুত দাঁত  পাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। বেকিং সোডাকে ন্যাচারাল কিনজার বলা হয়। প্রতিদিন একটু খানি বেকিং সোডা নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। দেখবেন নিমিষেই মুক্তোর মত হেসে উঠবে আপনার দাঁত।

পারঅক্সাইডঃ-
পারঅক্সাইড সাধারণ জীবানুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। দাঁতের রঙ বিবর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ খাদ্যকণা ও জীবাণু। খাবারের কালশিটে দাগ ও জীবানুমুক্ত করার জন্য দাঁত ব্রাশ করার পর পারঅক্সাইড দিয়ে কুলিকুচি করুন। দেখবেন ঝকঝকে হয়ে উঠছে আপনার দাঁত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top