সকল মেনু

জামিন মেলেনি মির্জা ফখরুলের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল জামিন না মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আসাদুজ্জামান ও বদরুদ্দোজা বাদল। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু, তাপস কুমার পাল প্রমুখ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

গত ২০ নভেম্বর মামলাটি জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২২ নভেম্বর শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইটপাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনের বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। মিছিলকারীরা বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ইটপাটকেল এবং ককটেলসহ (বিস্ফোরক) বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে রাস্তায় জনসাধারণ এবং যানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকরা সৃষ্টি করে যানবাহনের ক্ষতিসাধন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top