সকল মেনু

যশোরে তিনজনের ফাঁসি, দু’জনের যাবজ্জীবন

যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে আলোচিত ৭২ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, দু’জনের যাবজ্জীবন ও চার আসামির ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতদের ছয় আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শার্শার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মহিউদ্দিন তরফদার, জাহিদুল ইসলাম ও নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান।

২০ বছরের সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শার্শার ইমরান হোসেন, রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের কবির হোসেন এবং কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল মণ্ডল ওরফে মোল্যা ওরফে লিদু।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুদ রানা ও নুর জালাল মণ্ডল। সরকারপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান আসাদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে (২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাতে) নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের সীমান্ত পিলারের পাশে অবস্থান নেন বিজিবির সদস্যরা। রাত ১০টার দিকে কয়েকজন নারিকেলবাড়িয়া মাঠের মধ্য দিয়ে যেতে দেখলে তাদের চ্যালেঞ্জ করেন তারা। এসময় মহিউদ্দিন নামে একজনকে আটক ও দু’জন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান।

পরে ঐ ব্যাগ থেকে ৭২ কেজি ৪৫০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। পরদিন এ ঘটনায় মামলা হয়। এ মামলায় নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আজ এ মামলায় মহিউদ্দিন তরফদার শান্তি, জাহিদুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা; মাসুদ রানা ও শফিকুল মণ্ডলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সাফি, ইমরান হোসেন, কবির হোসেন ও রুবেল হোসেনকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top