সকল মেনু

বিশ্বকাপ বাছাই : অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ গোল খেলো বাংলাদেশ

দুই দলের মধ্যে শক্তিমত্তায় বিস্তর ফারাক। বিশ্ব ফুটবলে অস্ট্রেলিয়া ২৭ নম্বর দল, বাংলাদেশের র্যাংকিং ১৮৩। তাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জামাল ভূঁইয়ারা পেরে উঠবেন না, সেটা জানাই ছিল। দেখার ছিল হারটা কত ছোট হয়, কতটা লড়াই করতে পারে লাল-সবুজের দল।

না, লড়াইটাও হয়নি। হারও বেশ বড় ব্যবধানের। মেলবোর্নে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলে হেরেছে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা।

যদিও মেলবোর্নে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৪-০ গোলে।

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেছিলেন, দৈহিকভাবে এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে অহেতুক সেটপিস উপহার দেওয়া যাবে না। সেটা হবে আমাদের জন্য বিপদজনক। এমন কি আজ ম্যাচের আগে সে কথাটা বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলে খেলোয়াড়দের। কিন্তু সেই সেটপিসেই ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে গেছে সকারুজরা।

বাম দিক দিয়ে বল নিয়ে ঢোকার সময় গুডউইনকে ফাউল করেন মোহাম্মদ রিদয়। রেফারি ফ্রিকিকের সিদ্ধান্ত দিলে তিনিই কিক নেন। বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের চেয়ে ফিজিক্যালি এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ডরা সুবিধা নেন প্রথম সুযোগেই। হ্যারির নিঁখুত হেড ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা।

ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। ডান দিক দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে গোলমুখে ক্রস করেন কনোর। ব্রান্ডনের প্লেসিং গোলরক্ষকের হাতের পাশ দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।

শুরুর ঝড়ই আভাস দিয়েছিল বড় ব্যবধানে এগিয়েই বিরতিতে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ডিউক হেডে গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন ৩৭ মিনিটে। তিন মিনিট পর ডিউকের আবার গোল। এবার বক্সের মাথা থেকে গড়ানো শটে। ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

২০১৫ সালে পার্থেও ৪-০ গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল সকারুজরা। দ্বিতীয়ার্ধে ১ গোল করলে বাংলাদেশ হেরেছিল ৫-০ গোলে। এবার কোথায় গিয়ে থামে টানা ৫টি বিশ্বকাপ খেলা দল সেটাই দেখার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top