সকল মেনু

ব্রিকসের প্রভাব বাড়ছে: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আমাদের পাঁচ দেশের ব্লকটি বৈশ্বিক আঙ্গিনায় আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার করে কার্যকর সংস্থা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে ভিডিও লিংকে দেওয়া ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

পুতিন সম্মেলনে সশরীরে যোগ দেননি। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পুতিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যোগ দেন। দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির সদস্য, তাই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পুতিন সফরে গেলে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য দেশটি। এ কারণেই পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন না।

ভাষণে পুতিন বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ চার্টার এবং জনগণের নিজেদের উন্নয়নের অধিকারের ভিত্তিতে বিশ্বব্যবস্থাকে সমর্থন করে ব্রিকস সম্মেলন।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি দাবি করেছেন, কিছু দেশ উপনিবেশবাদ প্রচার করছে, যা ইউক্রেনে ভয়াবহ সংকট তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমাদের দ্বারা যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হলো ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপ। বিশ্বে তাদের আধিপত্য ধরে রাখার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে ২০১৪ সালে ইউক্রেনে ক্যু হয়েছে।

পুতিন দাবি করেছেন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করা জনগণকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। ডনবাসে পশ্চিমাদের শুরু করা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য পশ্চিমাদের দোষারোপ করার পর পুতিন বলেছেন, ব্রিকসের জন্য অগ্রাধিকার হচ্ছে নতুন, টেকসই, নিরাপদ পরিবহন রুট প্রতিষ্ঠা করা, যেমন, উত্তর-দক্ষিণ করিডোর- যা রাশিয়ার বন্দরগুলোকে আরব উপসাগর ও ভারতীয় মহাসাগরের সমুদ্র টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

ভাষণে তিনি বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সাধারণভাবে মানবিক সংহতির উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ও সভ্যতাগত বৈচিত্র্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন।

ব্রাজিল, ভারত, চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকস। মঙ্গলবার জোহানেসবার্গে তিন দিনের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ প্রতিনিধিত্ব করছেন। এই পাঁচটি দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩৫০ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top