সকল মেনু

নয় বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

কামাল হোসেন মাসুদ : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছাত্রকে (৯) বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার মো. মিজানুর রহমান (২৮) কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মনসুর আহমেদ হাজী বাড়ির জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের লতিফিয়া কাশিমুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালের দিকে গ্রেপ্তার আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এলাকাবাসী উপজেলার চরকাঁকড়া থেকে মিজানুর রহমানকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম উপজেলার লতিফিয়া কাশিমুল উলুম মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রের পার্শ্ববর্তী ঘরে কয়েকজনকে একসাথে প্রাইভেট পড়াতেন। গত ১৭ আগস্টও তিনি প্রাইভেট পড়াতে জান। সেদিন তিনি ভিকটিমকে তার মা ফোন করেছে বলে ডেকে নিয়ে বাথরুমে শিশুকে বলাৎকার করে।

পরে ঘরের মালিকের স্ত্রী বাথরুমে রক্ত দেখে জানতে চাইলে শিক্ষক জানায়, তার মুখ থেকে রক্ত পড়েছে। কিন্ত এ বিষয়ে তার সন্দেহ হয়। সে বিষয়টি ভিকটিমের নানীকে জানায়। ভিকটিমের নানী জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিম জানায়, তাকে একাধিকবার বলাৎকার করেছে। কাউকে কিছু বললে তাকে হত্যার ভয় দেখায়। পরে নির্যাতিত শিশুর পরিবার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top