সকল মেনু

একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৮৫০০

এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রবিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সই করা এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী-একাদশ শ্রেণিতে তিন ধাপে ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৮-২০ আগস্ট আবেদন প্রক্রিয়া চলবে। দ্বিতীয় ধাপে ১২-১৪ সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয় ধাপে ২০-২১ সেপ্টেম্বর আবেদন গ্রহণ করা হবে।

ভর্তির আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমে দিতে পারবেন। এ বছর সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৮ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ভর্তি শুরু হবে। ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে ৮ অক্টোবর।

ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

আবেদন ও ভর্তি ফি

অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। শিক্ষার্থীকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়নের সময় ৩৩৫ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।

ঢাকা মহানগরীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা। ঢাকা মহানগরীর নন এমপিও কিংবা আংশিক এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে ভর্তি ফি সাড়ে ৭ হাজার এবং ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে ৮ হাজার টাকা।

ঢাকার বাইরের মহানগরীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনে ভর্তি ফি ৩০০০ টাকা। জেলা পর্যায়ে দুই হাজার টাকা। উপজেলা বা মফস্বলে দেড় হাজার টাকা।

ঢাকার বাইরের মহানগরীতে নন-এমপিও বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা ভার্সনে ভর্তি ফি ৫০০০ টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ৬০০০ টাকা। জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে ৩০০০ টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা। উপজেলা বা মফস্বলে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা।

সারাদেশের কলেজগুলোতে ২৫ লাখের বেশি আসন রয়েছে। এ বছর সব শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে সাড়ে ৮ লাখেরও বেশি আসন খালি পড়ে থাকবে।

অন্যদিকে সরকারি কলেজগুলোতে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ভর্তি ফি নেওয়া হবে।

গত ২৮ জুলাই এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার শিক্ষার্থী। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top