সাড়ে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পায়রা বন্দরে এসে নোঙর করেছে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি পাভো ব্রেভ। শনিবার (১ জুলাই) রাতে বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছায় জাহাজটি।
রবিবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান।
উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, ইন্দোনেশিয়ার বালিকপানান বন্দর থেকে ৩৬ হাজার ৫৭০ টন কয়লা নিয়ে এমভি পাভো ব্রেভ নামে একটি জাহাজ পায়রা বন্দরের আউটারেজে এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে জাহাজটিকে ইনার অ্যাঙ্কোরেজে নিয়ে আসা হচ্ছে। এরপরই লাইটারের মাধ্যমে কয়লা খালাস কার্যক্রম শুরু হবে।
দীর্ঘ প্রায় একমাস বন্ধ থাকার পর গত মাসে পুনরায় চালু হয় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। গত মাসের ২২ জুন ৪১ হাজার ২০৭ টন কয়লা নিয়ে এমভি অ্যাথেনা নামে একটি জাহাজ বন্দরে আসে। ওই কয়লা দিয়ে ২৫ জুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে যায়। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর এটি হলো কয়লা নিয়ে আসা দ্বিতীয় জাহাজ।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদুল আলম জানান, ডলার সংকটের মধ্যেও সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সমন্বয় করে ১৩০ মিলিয়ন ডলার সংস্থান করে দিয়েছে। তা দিয়ে ৭ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে এমভি অ্যাথেনায় করে আসা ৪১ হাজার টন কয়লা দিয়ে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কয়লার বাকি চালানগুলো নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে পর্যায়ক্রমে আরও ১৬টি জাহাজ আসছে। এছাড়া সরকার নতুন করে কয়লা কেনার জন্য ডলার সংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। এটি চালাতে প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে ঋণ দিয়ে থাকে চীনা অংশীদার সিএমসি। ডলার সংকটের কারণে সময়মতো বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সিএমসি কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।