সকল মেনু

চোট নিয়ে খেলে অস্ট্রেলিয়ার বড় রানের ভিত গড়েছেন ওয়ার্নার

হাতের ব্যথার সঙ্গে লড়াই করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ৭ জুন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মোহাম্মদ শামির বাউন্সার থামাতে গিয়ে হাতে ব্যথা পান এই বাঁহাতি। লর্ডস টেস্টের আগে অনুশীলনের সময়ও ওয়ার্নারের হাতে বল লাগে। স্লিপ ক্যাচিংয়ের সময়ও হাতের তালুতে ব্যথা পান তিনি।

কাল এসবের সঙ্গে লড়াই করেই ৮৮ বলে ৬৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ওয়ার্নার। কাল দিনের খেলা শেষে ওয়ার্নার তাঁর চোটের ব্যাপারে বলেন, ‘আমি শেষ দুই ম্যাচে হাতে ব্যথা পেয়েছি। নেটে অনুশীলনের সময়ও। এখন অনেকটা অসাড় হয়ে আছে জায়গাটা। খেলা শেষে দেখব কী অবস্থায় আছি।’

ওয়ার্নার আরও জানান, লর্ডস টেস্টের আগে তাঁর চোট গুরুতর ছিল না। তাঁর কথা, ‘আমার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কা ছিল না। কিন্তু জায়গাটা অসাড় হয়ে আছে। শুরুর দিকে এটা হাতের তালুতে ছিল। বল ব্যাটে লাগলেই ব্যাট কেঁপে উঠছে। আজ আবার আঙুলের ডগায় বল লেগেছে, যেখানে মোহাম্মদ শামির বল লেগেছিল। আজ সারা বিকেল আমি বরফে হাত ঢুকিয়ে রেখেছি। এভাবেই খেলে যাব। খেলা শেষে দেখব।’

কঠিন কন্ডিশনে ওয়ার্নারের ইনিংসটিই গড়ে দেয় অস্ট্রেলিয়ার বড় রানের ভিত। এজবাস্টন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩৬ রান করে বাকিদের কাজটা সহজ করে দেন এই ওপেনার। এর আগে ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রান করেন তিনি। সব ইনিংসেই পুরোনো ওয়ার্নারের ছাঁয়া খুঁজে পাবেন।

ওয়ার্নারকেও নিজের ব্যাটিংয়ে সন্তুষ্ট মনে হলো, ‘গত ৬ থেকে ৮ মাস আমি আমার খেলায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অনুভব করছি। আমি বলের দিকে ভালো যাচ্ছি, আমার পা ঠিকমতো চলছে, শুধু হাত দিয়ে খেলছি না। আমার মনে হয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আমি বিশেষ কিছু করার দিকে এগোচ্ছিলাম। এজবাস্টনেও তা-ই।’

তিনি যে বড় ইনিংস থেকে খুব দূরে নেই, সেটাও জানান ওয়ার্নার। তাঁর কথা, ‘মনে হচ্ছে নেটে যা করছি, তা আমি মাঠে টেনে আনতে পারছি। আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমি এখন যে ছন্দে আছি, তাতে মনে হচ্ছে, বড় কিছু খুব দ্রুতই আসবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top