সকল মেনু

সরকারি চাকুরেদের বেতনের ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা

সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারী যারা আছেন তাদের বিশেষ বেতন হিসেবে মূল বেতনের ৫ শতাংশ এই আপৎকালীন সময়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কঠিন সময়ের মধ্যে এবারের বাজেট দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বিশ্বে বেড়েছে। যার আঘাত বাংলাদেশেও লেগেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও স্যাংশনসের কারণে অনেক অর্থনৈতিক উন্নত দেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে আমরা বাজেট দিতে পেরেছি, সেটাই সব থেকে বড় কথা। জনগণ ২০১৮ সালে ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছিল বলেই আমরা দেশ পরিচালনা করে এ বাজেট দিতে পারছি। এ বাজেটটি আমাদের মেয়াদের ১৫তম। চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট। কারণ নির্বাচন এ বছরেরই শেষে অথবা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই এটা আমাদের শেষ বাজেট। তবে একেবারে শেষ কি না সেটা বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব বাংলাদেশের জনগণকেই দিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাজেট নিয়ে অনেক বিজ্ঞজন নানা ধরনের মতামত দিয়েছেন। নানা ধরনের কথা বলেছেন। অনেকে সংস্কারের কথা বলেছেন। আলোচনা-সমালোচনা যাই করুক না কেন বাজেট নিয়ে যে তারা চিন্তা করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাই। আগামী বছরের বাজেট নিয়ে যারা মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসারে নারীরা যে কাজ করেন এটা কিন্তু বিরাট কর্মক্ষেত্র। এটা কিন্তু হিসেবে নেওয়া হয় না। এটা হিসেবে নেওয়া হলে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেক অগ্রগামী হতো। সেটা বাদ রেখে হিসাব হয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে বলবো আগামীতে যেন গৃহস্থালি কাজকেও হিসেবে নেন। কারণ সেখানেও কিন্তু নারীরা উৎপাদনমুখী কাজ করেন।

রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করবো, সেই কাজই শুরু করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভ চিহ্নিত করা হয়েছে তা হলো স্মার্ট সিটিজেট, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গর্ভমেন্ট ও স্মার্ট ইকোনমি। আমরা পরনির্ভরশীল থাকতে চাই না। আত্মনির্ভরশীল হতে চাই। আত্মমর্যাদাশীল হতে চাই। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে বলেও মনে করে শেখ হাসিনা।

বিদ্যমান কাস্টমস আইনকে আরও বেশি যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান, দপ্তর সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সুদ, আসল এবং বিনিয়োগের মুনাফা বাবদ বিপুল অংকের অর্থ পাওনা রয়েছে। অর্থ বিভাগ এসব পাওনা আদায়ের জন্য চেষ্টা করছে। সব প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, সেখানে আমাদের বিদ্যুতেও আছে। অনেক জায়গায় বিল দেওয়া হয়নি। সেগুলো আমরা দিয়ে দেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top