সকল মেনু

দ্বিতীয়বার সন্তান গর্ভধারণের আগে কয় মাস সময় নেয়া উচিত

অনেক নারীই প্রথম সন্তান জন্মের কয়েক মাস পরই দ্বিতীয় সন্তান গর্ভধারণ করে থাকেন। কিন্তু একটি সন্তান জন্মের ঠিক কতদিন পর দ্বিতীয় সন্তান গর্ভধারণ করা উচিত সেটা অনেকেরই অজানা। এ কারণে অনেকে এ ব্যাপারে জানতে চান। আর প্রথম সন্তান জন্মের পরপর দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করার কারণে নানা সমস্যা হয়ে থাকে, যা পরে বুঝতে পারা যায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এক গবেষণা অনুযায়ী এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, একজন নারীর দ্বিতীয় সন্তান নিতে হলে মাঝে অন্তত এক বছর সময় নেয়া উচিত। এতে মা ও সন্তানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সাহায্য পাওয়া যায় বলে মনে করেন গবেষকরা।

এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনায় বলা আছে, প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার মাঝে অন্তত দেড় বছর (১৮ মাস) বিরতি নেয়া উচিত। তবে গবেষকরা বলছেন, এক বছর সময়ই যথেষ্ট। ১৮ মাস বিরতি না নিলেও চলবে।

সাধারণত, প্রথম থেকে দ্বিতীয় সন্তান গর্ভধারণের মাঝে সময়ের ব্যবধান যদি কম হয়, তাহলে সন্তান অপরিপক্ক বা আকারে ছোট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি তো রয়েছেই।

সিনিয়র একজন গবেষক ড. ওয়েন্ডি নরম্যান বলেছেন, পয়ত্রিশের বেশি বয়সী নারীদের মধ্যে যারা মা হতে আগ্রহী তাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক সংবাদ রয়েছে।

জামা ইন্টারনাল মেডিসিন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে কানাডায় জন্ম নেয়া প্রায় দেড় লাখ শিশুর ওপর। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ।

এ গবেষণার তথ্য বলছে, দুবার গর্ভধারণের মাঝে বিরতির সময় হিসেবে এক থেকে দেড় বছর বয়সসীমা হচ্ছে আদর্শ সময়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এটি দুই বছর হওয়া উচিত এবং কোনোভাবেই দেড় বছরের কম হওয়া উচিত হবে না।

গবেষণায় আরও যেসব তথ্য উঠে এসেছে—এক বছরের কম সময়ের মধ্যে যদি গর্ভধারণ হয় সেটি যেকোনো বয়সের নারীর জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কখনো কখনো ৩৫ বছরের বেশি বয়সের নারীর জন্য এটি বেশি ঝুঁকি। তবে সব নভজাতকের জন্যই এটি ঝুঁকির। সন্তান জন্মের ছয় মাস সময়ের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী কোনো নারী যদি ফের গর্ভধারণ করে তাহলে সেটি মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে ওই নারীর জন্য। আবার কোনো তরুণী ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করলে তার ঝুঁকি থাকে আট শতাংশের মতো। এক্ষেত্রে সন্তান অপরিপক্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকরা বলছেন, এ গবেষণা বেশি বয়সী নারীদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও গবেষণাটি শুধু কানাডায় পরিচালিত হয়েছে। এ কারণে বিশ্বের সব অঞ্চলের জন্য গবেষণাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

গবেষক ড. সোনিয়া হার্নান্দেজ জানিয়েছেন, গবেষণায় বয়স ভেদে নারীদের নানা ধরনের ঝুঁকির বিষয়ে উঠে এসেছে। এ গবেষকের মতে, অল্প সময়ের বিরতিতে গর্ভধারণ মূলত অপরিকল্পিত গর্ভধারণের বিষয় প্রকাশ পায়। বিশেষ করে বলা যায় তরুণী মায়েদের ক্ষেত্রে। করণীয় সম্পর্কে গবেষকদের দেয়া পরামর্শ মেনে চললে ঝুঁকি কিছুটা কমতে পারে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয়া উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top