সকল মেনু

সাতক্ষীরার মেয়র তাজকিনকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ

বিএনপি নেতা সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদকে আর্থিক দায়িত্বসহ সব ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানকে এই নির্দেশ দেয়া হয়। এসংক্রান্ত এক শুনানিতে আজ সোমবার (১৯ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এসময় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ, মেয়র তাজকিন আহমেদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মেয়র তাজকিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানকে আর্থিক ক্ষমতাসহ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে তাজকিন আহমেদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়ে বিবাদীর প্রতি রুল জারি করেন। সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির সদস্যসচিব ও মেয়র তাজকিন আহমেদ সাতক্ষীরা পৌরসভায় গেলে তাকে যোগদান করতে দেয়নি ভারপ্রাপ্ত মেয়র।

অন্যদিকে, হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানার পর ফিরোজের সিগনেচারকৃত কোন ধরনের চেক বা লেনদেন পৌরসভার পক্ষ থেকে আসলে না নেয়ার আদেশ দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই কারণে সিটি ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা কর্তৃপক্ষের প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ফিরোজ। নোটিশে জানতে চায়- তাদের ট্রেড লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলাসহ দুদুকে অভিযোগ করা হবে না। নোটিশটি সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতের নজরে নিয়ে আসে এবং এই মামলায় অতিরিক্ত বিবাদী হওয়ার জন্য আবেদন করে, হাইকোর্ট তাদের আবেদনটি গ্রহণ করে এবং ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানকে তলব করে। তাজকিনকে যোগ দিতে না দেয়া ও সিটি ব্যাংকে দেয়া নোটিশের ব্যাখ্য দিতে আদালত তাকে হাজির হতে বলেছিলেন।

আজ তিনি হাজির হলে শুনানির শুরুতে ফিরোজ হাসানকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আপনি প্যানেল মেয়র। মেয়রকে বরখাস্তের স্থগিত অর্ডার আগেই পেয়েছেন। তাহলে ব্যাংকে চিঠি দিয়ে হুমকি দিলেন কেন? এগুলো তো ভালো জিনিস না। আপনি জনপ্রতিনিধি। আর জনপ্রতিনিধির কাজ মানুষের সেবা করা। হুমকি দেবেন না। আপনি ব্যাংকগুলোকে সহযোগিতা করতে পারতেন। আপনি কোর্টের অর্ডার অমান্য করেছেন। আদালতের আদেশ অমান্য করলে শাস্তি দেয়া হবে। এসময় আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।

ফিরোজ হাসান তখন আদালত বলেন, কর্মচারীদের বেতন আটকে রাখবেন না। আপনার কারণে কর্মচারীরা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাহলে হেভি ফাইন করা হবে। শুনানির পর মেয়র তাসকিন আহমেদকে সব ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top