সকল মেনু

ডেন্টাল স্কেলিং কী ও কেন জরুরি?

হাসতে সবাই ভালোবাসেন। তবে আপনার হাসির সৌন্দর্যতা দ্বিগুণ বাড়াতে পারে দাঁত। সুন্দর হাসির রহস্য হলো পরিষ্কার, ঝকঝকে, চকচকে ও ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা দাঁত।

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা ও ফ্লসিং করা (দাঁত পরিষ্কার করা) অবশ্যই দাঁত ভালো রাখে। তবে তবে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা এড়াতে প্রতি ৬-১২ মাসে অন্তত একবার দাঁতের পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।

কেন করতে হবে?

মূলত খাদ্য দাঁতের চারপাশে একটি প্লাক তৈরি করে, যা ব্যাকটেরিয়াকে আকর্ষণ করে ও এটিকে ক্যালকুলাস বা শক্ত স্তরে পরিণত করে। যা অনেকটা পাথরের মতো।

ক্যালকুলাস পেরিওডন্টাল রোগের অন্যতম সাধারণ কারণ। কারণ এটি মাড়িকে দুর্বল করে। অনেকেই হয়তো এই বিষয়ে জানেন না, কিংবা জানার কথাও না। তবে একজন অসচেতন রোগীর দাঁতের অসংখ্য সমস্যা ক্যালকুলাসের কারণে হতে পারে।

এর থেকে পরিত্রাণের উপায়?

ডেন্টাল আল্ট্রাসনিক স্কেলিং বা ডেন্টাল ক্লিনিংয়ের মাধ্যমে আপনার দাঁত সুস্থ ও পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতি ৬-১২ মাস পর একজন দক্ষ ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।

ডেন্টাল চেকআপের সময় দাঁতের ডাক্তার আপনার দাঁত ও মাড়ির মধ্যবর্তী স্থান পর্যবেক্ষণ করে ক্যালকুলাসের বিদ্যমান স্তর ও পেরিওডন্টাল রোগের লক্ষণগুলো পরীক্ষা করবেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে খুব সহজেই এর সমাধান দেওয়া যায়। এতে আপনার যেমন সময় বাচবে, তেমনই অল্প খরচে সমাধান পাবেন।

কেন দাঁত পরিষ্কার প্রয়োজন?

প্লাকের পুরু ও আঁঠালো স্তরটি গাম লাইনের উপরে ও নীচে একটি শক্ত পৃষ্ঠে পরিণত হয়। এই স্তর দাঁতের আশপাশের মাড়িকে সংক্রমিত করে বলে বিভিন্ন পেরিওডন্টাল রোগে পরিণত হয়।

পরবর্তী সময়ে দাঁত শক্তি হারিয়ে নড়া শুরু করে, শিরশিরানি হতে পারে ও অনেক সময় ক্ষয় হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে, যা গাম ব্লিডিং নামে পরিচিত।

তাই ডেন্টাল আল্ট্রাসনিক স্কেলিং দিয়ে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করার মাধ্যমে আপনার দাঁত সুস্থ রাখতে পারবেন। কারণ এটি স্বাস্থ্যকর মাড়ি ও দাঁত সুন্দর রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।

একজন সচেতন মানুষ হিসেবে প্রতি ৬-১২ মাস এর মধ্যে আপনার দাঁত চেকআপ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট/স্কেলিং করে নেওয়া জরুরি। এতে আপনার দাঁত যেমন ভালো থাকবে, তেমন আপনিও ভালো থাকবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top