সকল মেনু

বাংলালিংকের পৃষ্ঠপোষকতায় লালন তিরোধান দিবস

হটনিউজ ডেস্ক:

দেশের অন্যতম বৃহত্তম সাংস্কৃতিক উৎসব লালন তিরোধান দিবস ২০১৩, ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২০ অক্টোবরে শেষ হয়ে গেল। একটি final picসুবৃহৎ মেলা ঘিরে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে। শত বছরেরও আগে থেকে কিংবদন্তী দার্শনিক ফকির লালন শাহের জীবন ও বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিবছর অক্টোবরের ৩য় সপ্তাহে লালন তিরোধান দিবসটি নিয়মিতভাবে আয়োজিত হচ্ছে।

ফকির লালন শাহ বাংলাদেশ এবং ভারত অঞ্চলের এক আসামান্য কিংবদন্তী; তিনি সবচেয়ে পরিচিত বাউল হিসেবেই কেবল গণ্য নন-একইসঙ্গে তিনি বাউল ঘরানার পথিকৃৎও বটে। শত বছরের ধারাবাহিকতায় দিবসটি এখন শ্রেণী-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের পুনর্মিলন ও বিনোদনের অফুরন্ত এক উৎসও বটে। উৎসব উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়া শহরের সুন্দরবন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত লালন কমপ্লেক্সে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শত শত বাউলের পাশাপাশি হাজার হাজার সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন।

এবার নিয়ে পরপর সপ্তমবারের মতো বাংলালিংক এই অভিজাত উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। পাঁচদিনব্যপি উৎসবের আয়োজক হচ্ছে লালন একাডেমি।

তথ্যমন্ত্রী, হাসানুল হক ইনু প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন। কুষ্টিয়া-৪আসনের এমপি বেগম সুলতানা তরুন, ইসলামী ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়ার ভিসি, প্রফেসর ড. আব্দুল হাকিম সরকার, বাংলালিংকের পিআর এন্ড কমিউনিকেশন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জনাব আংকিত সুরেকা, সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজার, মার্কেটিং জনাব খন্দকার আশিক ইকবাল উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রিজিওনাল কমার্শিয়াল হেড, খুলনা, বাংলালিংক, মো.বাবুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

লালন তিরোধান দিবস সর্বসাধারনের জন্য এমন একটি বিশেষ উৎসব যেখানে বয়ষ, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবধরনের মানুষ একই আনন্দ ও সম্মান নিয়ে এতে অংশগ্রহন করেন। কেবলমাত্র অংশগ্রহনকারীরাই লালন উৎসবে নিজেদের শ্রদ্ধা অর্পন করে না; বরং একইসঙ্গে সারা জাতি এবং বর্হিবিশ্বের নানা জাতি ও দেশ শ্রদ্ধায় ফকির লালনকে স্মরণ করে।

পাঁচদিনব্যপি আয়োজিত ১২৩ তম লালন স্মরণ উৎসবে নানা আয়োজনের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য: বাউল শিল্পীদের মধ্যে সঙ্গীত প্রতিযোগিতা, বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহনে সঙ্গীতানুষ্ঠান, বাণিজ্য মেলা ইত্যাদি। স্থানীয় সুত্র অনুযায়ী, উৎসব চলাকালে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ এতে সমবেত হন!

বাংলালিংকের রিজিওনাল কমার্শিয়াল হেড, খুলনা, মো.বাবুল হক এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিবেচনায় বিশেষভাবে অভিজাত এই উৎসব পৃষ্ঠপোষকতা করতে পেরে বাংলালিংক গর্বিত। আমাদের সংস্কৃতির সুবিস্তৃত পরিসরে ফকির লালন শাহ একজন আসামান্য কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃত। উৎসবের এই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল, যেখানে সবাই স্বতস্ফুর্তভাবে সমবেত হয়ে বাকি পৃথিবীর আর সবকিছুকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলে গিয়েছিলেন। বাংলালিংক বরাবরই আমাদের সাংস্কৃতিক ঐহিত্য ও সমৃদ্ধিকে আরও উঁচুতে উপস্থাপনের জন্য কাজ করে চলেছে- এরই ধারাবাহিকতায় এবারো লালন স্মরণে উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বাংলালিংক।

বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর হলো বাংলালিংক; যাদের প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখের মত গ্রাহক রয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলালিংক হচ্ছে নেদারল্যান্ড্সভিত্তিক ভিম্পেলকম লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top