সকল মেনু

আন্দোলনে যারা এসেছে তারা বিএনপি-জামায়াতের লোক: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাস। মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবিতে বেলা ১১টা থেকে আন্দোলন শুরু করেন চিকিৎসকরা। এরপর উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে বিএসএমএমইউয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হঠাৎ করেই সেখানে হাজির হয়ে স্লোগান দেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে ছড়ায় উত্তেজনা।

এরপর আন্দোলনকারীদের ১০ প্রতিনিধি উপাচার্যের কার্যালয়ে আলোচনা করতে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তারা জানান, উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি আমাদের দাবি আদায়ে ব্যবস্থা নেবেন। তবে তিনি আমাদের আন্দোলনকে ট্যাগ লাগানোর জন্য জামায়াত-শিবির আখ্যা দিয়েছেন। ফলে উপাচার্যের বক্তব্যে আমরা আশ্বস্ত নই।

পরে সাংবাদিকদের বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে সাতদিনের সময় নিয়েছি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মতো। তাদের দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে এরই মধ্যে কথা বলেছি। এ বিষয়ে আবারও আলোচনা করবো। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।

আন্দোলনকারীরা অবস্থান ত্যাগ করে অন্যত্র সরে গেলে বিএসএমএমইউ উপাচার্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাছে যান। চিকিৎসকদের আন্দোলন প্রতিহত করতে তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনি আন্দোলন চলাকালে তার পাশে থাকায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলে তা হবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এসব মোকাবিলায় আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। সবাই মিলে এই ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিল করবো। আমরা সব ষড়যন্ত্রকারির কালো হাত ভেঙে দেবো।

আন্দোলনকারীদের স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যারা এই কাজ করতে এসেছেন তারা জামায়াত-শিবির। আন্দোলনে যারা এসেছেন তারা বিএনপি-জামায়াতের লোক। ফেসবুকে যাদের নাম দেখেছি তারা সবাই বিএনপি-জামায়াত। এই জামায়াত-বিএনপির খপ্পরে আমাদের কিছু লোকও থাকতে পারে। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো।

হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে অভিযোগ করে ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ জামায়াত-বিএনপির অনেকেই আমার কর্মকর্তা, কর্মচারী, চিকিৎসক, শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়েছেন। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে সেই হাত আমরা ভেঙে ফেলবো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top