সকল মেনু

জামায়াতকে সভা করার অনুমতি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী

জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘অপেক্ষা করেন, আরও দেখবেন কী হয়।’

রবিবার (১১ জুন) সচিবালয়ে জার্মান দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ফার্ডিনান্ড ফন ভেইহের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াতকে সভা করার অনুমতির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক ব্যাপার। রাজনৈতিক কারণে, দেখা যাক। এটা একটা পলিটিক্যাল ডিসিশন, এটি সময়ই আমাদের বলে দেবে।’

আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘তারা রাজনৈতিক দল, হাইকোর্টের ই-ছিল (পর্যবেক্ষণ) সংবিধানের সঙ্গে তাদের গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক, গ্রহণযোগ্য না। তাদের তো অনেক জনসমর্থনও আছে। এ পরিস্থিতির আলোকে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, আরও দেখবেন কী হয়।’

‘আমরা অনেক সময় রাজনীতিতে অনেক পদক্ষেপ নিই, এটি নিতে হয়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অনেক প্রতিকূলতার মাঝে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সুপরিকল্পিতভাবে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধংস করার জন্য, দেশটিকে পাকিস্তানের ধারায় নেওয়ার জন্য অনেক কিছু করেছে। এদেশে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া যায়নি, বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে আনা যায়নি। এমন পরিস্থিতি ছিল যে সামরিক স্বৈরাচাররা এরশাদের আমলে, জিয়ার আমলে এগুলো করেছে। তখন আমাদের পরিস্থিতির আলোকে অনেক পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। সেটিই আমি বলতে চেয়েছি।’ বলেন মন্ত্রী।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সংলাপের সুযোগ নেই কেন? আন্তর্জাতিক ই-হলো (রাজনীতি) যে পৃথিবীতে যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপ হতে পারে। কিন্তু এ মুহূর্তে তো ওই রকম কোনো ই-সৃষ্টি (পরিস্থিতি) হয়নি যে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে। তারা আন্দোলন করছে। আন্দোলন করতে করতে যখন তারা এক্সজস্টেড (ক্লান্ত) হয়ে যাবে তখন তারাই বলবে একটা কিছু করা দরকার। আমরা সাধারণত তাই করি।’

আজকেই কলকাতা থেকে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসেছেন কৃষিমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কলকাতার লোকজনও চায় সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের দেশের নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর হোক। মুক্তিযুদ্ধের শক্তি যাতে ক্ষমতায় আসে সেটা তাদের প্রত্যাশা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন। গ্রাসরুট লেভেলে আওয়ামী লীগের যথেষ্ট ভিত্তি আছে। ইচ্ছা করলেই আন্দোলন করে বিএনপি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। বিএনপি আন্দোলন করে এ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। বিদেশিরা তাদের যত রকম উসকানি দিক, সহযোগিতা করুক। তারা যেটা প্রত্যাশা করছে বিদেশিরাও একটা পর্যায়ে গিয়ে বুঝবে ওইভাবে সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব না এবং আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের এমন কোনো বাড়ি নেই, এমন কোনো পাড়া নেই যে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী নেই।’

‘আমাদের ভুলভ্রান্তি যে নেই তা নয়। কাজেই এ দলকে ইচ্ছা করলেই ঠেলে দেওয়া কঠিন। বিদেশি কোনো শক্তি বা কেউ যদি আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় এবং হস্তক্ষেপ করে আমি মনে করি না তারা সফল হতে পারবে। আমরা রাজনৈতিকভাবে সেটা মোকাবিলা করতে পারব। দৌড়ঝাপ আছে, সেটি করতেই পারে। আমি বলেছি তোমরা (বিদেশি) সাজেশন দাও।’

সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধানের আলোকে আগামী নির্বাচন হতে হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top