সকল মেনু

ডিএমপি আবেদন গ্রহণ করেছে, অনুমতির বিষয়ে পরে জানাবে: জামায়াত

আগামী ১০ জুন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। পুলিশ আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অনুমতির দেওয়ার বিষয়ে পরে জানাবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এ কথা বলেন জামায়াতের প্রতিনিধি দলের প্রধান অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।

সাইফুর রহমান বলেন, আমাদের আবেদনটি ডিএমপির একজন উপ-পুলিশ কমিশনার গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাদের কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। আমরা তাকে অভিহিত করেছি, জামায়াতে ইসলাম ৫ জুন বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কর্মদিবসের একটি কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাদের জানিয়ে ছিল। এরপর জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশের এ বক্তব্যকে সম্মান দেখিয়ে কর্মসূচি পরিবর্তন করে আগামী ১০ জুন (শনিবার) নতুন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেন। তাই ১০ জুনের কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি।

তিনি আরও বলেন, নতুন কর্মসূচির বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। যেহেতু পুলিশের বক্তব্যকে সম্মান দেখিয়ে নতুন করে কর্মসূচি দিয়েছি তাই তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। পুলিশের যেই কর্মকর্তা আবেদনটি গ্রহণ করেছেন, তিনি বলেছেন যেহেতু পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় তাই পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আমরা উনাদের বলেছি যেহেতু জামায়াতের পক্ষ থেকে একটি নির্দিষ্ট রূপ ও সময় দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের যদি ভিন্ন কোনো বক্তব্য থাকে আমাদের জানানোর জন্য। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর কর্মসূচি পালন করতে চায় জামায়াত।

দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে অভিহিত করতে সক্ষম হয়েছি তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কখনো কোনো সংঘর্ষ হয়নি। জামায়াতে ইসলামকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। জামায়াতকে যদি আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয় রাজধানীতে উৎসবের আমেজ হবে। দেশের লাখ লাখ মানুষ জামায়াতের কর্মসূচিতে সামিল হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির পর নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণার দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন ভিসানীতি ছিল না তখনো কিন্তু জামায়াতের মিছিল মিটিং হয়েছে। অতীতে যেভাবে কার্যক্রম চলেছে এখনো সেভাবেই চলছে। এ ভিসানীতি জামায়াতের কার্যক্রম ব্যাহত হবে না।

অনুমতি না দিলে জামায়াতের করণীয় কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি অবহিত করবো। তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ বিষয়ে ডিএমপি সদরদপ্তরের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল ডিএমপি সদরদপ্তরে এসেছিলেন। তারা আগামী ১০ জুন রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। কমিশনারের কার্যালয় থেকে আবেদনপত্রটি নেওয়া হয়েছে। এখন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্তের বিষয় পরে জানানো হবে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে জামায়াতের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল মিন্টো রোডের ডিএমপি কার্যালয়ে যায়।

প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসাইন, অ্যাডভোকেট জালাল আহমেদ, মো. তরিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দলের নেতা ও অন্য ওলামাদের মুক্তি এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ৫ জুন জামায়াতের পক্ষ থেকে কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। অনুমতি না মেলায় ৫ জুনের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করে জামায়াতে ইসলামী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top