সকল মেনু

নোয়াখালীতে ‘আমিশাপাড়া সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ উদ্বোধন

কামাল হোসেন মাসুদ, নোয়াখালী: প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র রোগীসহ সর্বসাধারণের স্বল্প খরচে সর্বোচ্চ সেবাদানের প্রত্যয় নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যাত্রা শুরু করলো ‘আমিশাপাড়া সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল।

শনিবার দুপুরে ফিতা কেটে ৫ তলা বিশিষ্ট এ হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসমাইল হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর ইউসুফ প্রমুখ।

এর আগে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং চেয়ারম্যান শামস মো. তারেকের সভাপতিত্বে সুধীজনের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হাসপাতালটির প্রধান উদ্যোক্তা আজাদুল ইসলাম স্বপনসহ সুধীজন বক্তব্য রাখেন। এসময় ব্যবসায়ীসহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিতি ছিলেন।

এসময় হাসপাতালটির চেয়ারম্যান শামস মো. তারেক বলেন, আমিশাপাড়া বাজারে ৫ তলা বিশিষ্ট ভবন হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জরুরি বিভাগের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে দেশের যেকোনো বড় শহরের মতোই রোগীদের সেবা দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, অসহায় দুস্থ রোগী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে। অল্প খরচেই এই হাসপাতালের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন রোগীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, স্বাস্থ্যখাত ভাল থাকলে দেশ ভাল থাকে। আমরা সাধারণ মানুষ ভাল থাকি। শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। কিভাবে মহামারী থেকে ঘুরে দাড়াতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা আমাদের শিখিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এখন উন্নত সেবা পাওয়া যায়। যেহেতু এই এলাকা থেকে সরকারি হাসপাতালের দূরত্ব রয়েছে তাই প্রাইভেট হাসপাতালের প্রয়োজন ছিল।

প্রসঙ্গত, জেলা সদর হাসপাতাল থেকে এই অঞ্চেলের দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমিটার, অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৮ কিলোমিটার দূরে ফলে বিভিন্ন সময়ে যানবাহন ও চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। জেলা শহরে যাওয়ার পথে অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এমতাবস্থায় একটি হাসপাতাল গড়ে ওঠায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top