সকল মেনু

আবারও হোঁচট আর্সেনালের, হঠাৎ জমে উঠলো শিরোপা লড়াই

নিজের হাতেই কী তাহলে শিরোপাটা হারাতে যাচ্ছে আর্সেনাল? দীর্ঘদিন পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলো গানাররা; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে একের পর এক পয়েন্ট হারিয়ে এখন শিরোপা জিততে না পারার শঙ্কায় পড়ে গেছে মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা।

শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠেই সাউদাম্পটনের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে আর্সেনাল। টানা তিন ম্যাচ ড্র করে বসলো গানাররা। তিন ম্যাচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পয়েন্ট হারিয়ে বসেছে তারা। লিভারপুলের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র দিয়ে শুরু। এরপর উলভারহ্যাম্পটনের সঙ্গে ড্র করেছে ২-২ গোলে। সর্বশেষ তারা ড্র করলে সাউদাম্পটনের সঙ্গে।

তবে ঘরের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে সাউদাম্পটনের কাছে হারতেই বসেছিলো আর্সেনাল। শেষ মুহূর্তে ২টি গোল দিয়ে কোনোমতে মান রক্ষা করে। শুরুতেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে গানাররা। প্রথমার্ধে একটি গোল শোধ করলেও দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি গিয়ে আরও একবার পিছিয়ে পড়ে। এরপর শেষ দুই মিনিটে ঝড়ে কোনোমতে এক পয়েন্ট বাঁচিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে তারা।

এই ড্র’য়ের ফলে ৩২ ম্যাচ শেষে আর্সেনালের পয়েন্ট এখন ৭৫। ৩০ ম্যাচ শেষে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ম্যানসিটি। পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা পরের দুই ম্যাচ জিতলে নিশ্চিত আর্সেনালকে পেছনে ফেলে দেবে। সুতরাং, বলাই যায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই আবারও দুর্দান্তভাবে জমে উঠেছে। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সাউদাম্পটন রয়েছে একেবারে তলানীতে।

দুটি পরিসংখ্যান সামনে নিয়ে সাউদাম্পটনের মুখোমুখি হয়েছিলো আর্সেনাল। প্রথমটি, ঘরের মাঠে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে খেলা প্রিমিয়ার লিগের ২৩ ম্যাচে কখনোই হারেনি তারা। আরেকটি হলো, এ মৌসুমে আর্সেনাল যে কয়টি দলকে হারাতে পারেনি, তার একটি সাউদাম্পটন।

এবারও সাউদাম্পটনকে হারাতে পারেনি তারা এবং নিজেরাও হারেনি। লিগে আগের ম্যাচেও সাউদাম্পটনের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল, এবার হেরেই যাচ্ছিল। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্সেনাল; কিন্তু ৮৮ ও ৯০ মিনিটে মার্টিন ওডেগার্ড আর বুকায়ো সাকার গোলে শেষ পর্যন্ত একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে তারা।

সাউদাম্পটনের বিপক্ষে আর্সেনাল পিছিয়ে পড়ে ২৭ সেকেন্ডই। গোলকিপার অ্যারন রামসডেলের শিশুতোষ ভুলে ম্যাচ শুরু না হতেই পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। রামসডেল তার সতীর্থকে পাস দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে একটু সামনে তিনি দিলেন ভুল পাস। বল পেয়ে যান সাউদাম্পটনের আলকারাজ। এমন সুন্দর সুযোগ পেয়ে কোনো ভুল করেননি তিনি। একটু এগিয়ে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে আর্সেনালের জালে বল জড়ান তিনি।

গোল খেয়ে যেন মরিয়া হয়ে ওঠে আর্সেনাল। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে দুর্দান্ত সব আক্রমণে সাউদাম্পটনের রক্ষণ দিশেহারা করে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার মার্তিনেলি; কিন্তু স্রোতের বিপরীতে ১৪ মিনিটে গোল দিয়ে বসে সাউদাম্পটনই। ১৪ মিনিটে স্কোরলাইন ২-০ করা গোলটি করেন থিও ওয়ালকট।

২০তম মিনিটে কিছুটা স্বস্তি ফেরে আর্সেনাল শিবিরে। সাকার পাস থেকে একটি গোল শোধ করেন মার্তিনেলি। এ গোলের পর আর্সেনালের আক্রমণের ধার যেন আরও বাড়ে। সাউদাম্পটনও মাঝেমধ্যেই প্রতিআক্রমণে উঠে আসছিল। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি কোনো দলই।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্সেনালকে দেখে মনে হচ্ছিল, প্রথমার্ধের উদ্দীপনাটা ধরে রাখতে পারেনি তারা। এর খেসারতও দিতে হয় তাদের ৬৬ মিনিটে। কালেতা-কারের গোলে সাউদাম্পটন এগিয়ে যায় ৩-১ ব্যবধানে।

গোল খেয়ে আবার জেগে ওঠার চেষ্টা করে আর্সেনাল, ধার বাড়ায় আক্রমণের। কিন্তু গোল কিছুতেই আসছিল না। তবে শেষ সময়ে সর্বশক্তি নিয়ে সাউদাম্পটনের রক্ষণে ঝাঁপিয়ে পড়েই গোল আদায় করে নেয় তারা। ৮৮ মিনিটে ওডেগার্ড এবং ৯০ মিনিটে বুকায়ো সাকার গোল। এতেই পরাজয় থেকে রক্ষা পায় তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top