সকল মেনু

ঈদ এলে এখনও মিস করি হাতে বানানো সেমাই: মোস্তাফা জব্বার

ছোটবেলায় ঈদ উদযাপনের কথা জানতে চাইলে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সে সময় তার গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। মেশিনের কোনও আওয়াজ শুনতে পেতেন না। বাস করতেন কৃষিভিত্তিক একটা সমাজে। ঈদের নামাজ পড়েই সেমাই খেতে ছুটতেন গ্রামের এ বাড়ি ও বাড়ি। ঈদ মানেই ছিল হাতে বানানো সেমাই, এই সময়ে এসে যা তিনি মিস করেন।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই ছোটবেলার ঈদ স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বলেন, এখনকার ঈদ মানে সকালে উঠে গোসল করো, নামাজে যাও, বাসায় ফিরে আসো, কারও বাসায় বেড়াতে যাও বা কেউ বাসায় বেড়াতে এলো এই-ই। এখনকার ঈদ একটা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। এই বেলার ঈদে ‘সেই জীবন’টা যেন নেই। এখন ছোটবেলাটা মিস করি।

ছোটবেলার ঈদের স্মৃতি মনে করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ছোটবেলায় ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে নদীতে গোসল সেরে নামাজ পড়তে চলে যেতাম ঈদগাহে। নামাজে শেষে কোলাকুলি সেরে বাসায় ফিরে সেমাই খেতেই হতো। সেই সেমাই ছিল হাতে বানানো। তারপর গ্রামে বেরিয়ে পড়তাম। গ্রামের এ মাথা থেকে ও মাথা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবশ্যই খেতে হতো। সেমাই খেতেই হবে—এটা মাস্ট। সব আত্মীয়ের বাড়িতে খেতে হতো।

মন্ত্রী বলেন, আমি নিজ গ্রামে প্রাইমারি পর্যন্ত পড়েছি, তারপর দূরের গ্রামে গিয়ে হাইস্কুলে পড়েছি। তখন নিজ গ্রামে হাইস্কুলে পড়ার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে গ্রামে ঈদ করতে এলে সব বাড়িতে আদর পেতাম। উঁচু ক্লাসের ছাত্র হওয়ায় আদরের মাত্রাটা ছিল একটু বেশিই। তখন সমাজ ছিল কৃষিভিত্তিক। সে সময় বিদ্যুৎ ছিল না। মেশিনের আওয়াজ ছিল না। একেবারে প্রাকৃতিক পরিবেশে জীবনযাপন করতাম। মেশিনের আওয়াজ শুনলাম নৌকায় ইঞ্জিন বসানোর পরে।

‘সে সময় ঈদের কেনাকাটা উপলক্ষে বাজারে যেতাম। কাপড় কিনে খলিফার (দর্জি) কাছ থেকে কাপড়চোপড় বানিয়ে দেওয়া হতো। সেই কাপড় পরার আনন্দ ছিল অন্যরকম।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উল্লেখ করেন, ঈদগাহে যেতাম নামাজ পড়তে। ৫-৭ গ্রামের মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তাম। অনেক মানুষ। অনেক আত্মীয়-স্বজন, গ্রামের মানুষ। অনেকের সঙ্গে কোলাকুলি শেষে বাড়ি ফিরে হাতেকাটা সেমাই খেয়ে বেরিয়ে পড়তাম গ্রামের মেঠোপথ ধরে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top