সকল মেনু

জবিতে ঐতিহ্যবাহী রায়বেঁশে নৃত‍্য পরিবেশিত

রায়বেঁশে বা লাঠিখেলা হাজার বছরের বাঙ্গালী ঐতিহ্যের এক অন্যতম নিদর্শন। যুদ্ধ নৃত্য হলেও আমাদের দেশীয় আচার উপাচার মিশ্রিত এই পরিবেশনাটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ। যা পরিবেশিত হয়ে আসছে বিভিন্ন দেশীয় পার্বণে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যক্রমে দেশজ নাট্যের নৃত্য অংশে এই রায়বেঁশে পরিবেশনাটি অধ্যয়ন করে আসছে। ফলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে এই পরিবেশনাটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে উপস্থাপিত হয়।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী রায়বেঁশে নৃত‍্যটি পরিবেশন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের রকি, ১৫তম আবর্তনের মারুফ, অনন্যা, নিশা, রুদ্র, বাবলু আলম, সৌমিক, ঈশিতা, ১৬তম আবর্তনের খুশি, নওমী, সাদিয়া, মুগ্ধ, তাকরিম, মোস্তাকিন, শোভন, সুরাজ এবং ১৭তম আবর্তনের মুস্তাফিজ, অভিজিৎ ও ফিজা।

নৃত্যে পরিকল্পনায় ছিলেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষক কৃপাকনা তালুকদার। দ্রব্যসামগ্রী নির্মাণে ঈশিতা, প্রকাশনা ও পোস্টার সাদিয়া নিশা। সহযোগিতায় ১৭ম আবর্তন। সঙ্গীত পরিবেশনা করেন শোভন, সুরাজ, তাকরিম, অনন্যা, নিশা, মুস্তাফিজ, অভিজিৎ, ফিজা।

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, বার মাসে তের পার্বণ’ খ্যাত বাঙ্গালীদের অনেক প্রিয় উৎসবের একটি হল পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা বর্ষবরণ। একজন উৎসব প্রিয় বাঙ্গালী হিসেবে আমার ও এই নববর্ষ বরণ নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই। আনন্দঘন, উৎসবমুখর এই দিনটি নিয়ে ভাবতে গেলেই কিছু ভাবনা আপনাআপনি চলে আসে।

তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখ মানেই আমার কাছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, রঙ্গিন আলপনা, গরদ তথা লাল পেড়ে সাদা শাড়ি, মাটির গয়না, হাত খোঁপায় জড়িয়ে রাখা চুলে ফুলের ছোঁয়া, মেহেদী-আলতার রঙ্গে হাত রাঙ্গানো, বৈশাখী মেলায় ঘুরতে ঘুরতে মুড়িমুড়কি, মণ্ডা-মিঠাই এর স্বাদ নেওয়া, নাগরদোলা, পুতুল নাচ সেই সাথে চিরাচরিত পান্তা-ইলিশের জিভে জল আনা স্বাদ-এর এক অভূতপূর্ব সমন্বয় এই দিনটি।

মারুফ বলেন, নিজেকে এবং নিজের শেকড় কে নতুন রূপে ফিরে পেতে এই দিনটি বরাবরই আমার কাছে অনন্য। এই দিনটিকে আরো উৎসবমুখর করে তুলতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগ আয়োজন করে রায়বেশেঁ নৃত্যের।

আমরা গত ১০ তারিখ থেকে রিহার্সেল শুরু করেছি এই রায়বেঁশে নৃত্যের। এই নৃত্যের মাধ্যমে আমরা বাঙালি সংস্কৃতিকে আরো একবার পরিচয় করিয়ে দিতে চাই সবার সাথে। আমরা সবাই চেষ্টা করছি যাতে এই দিনটি আরও স্মরণীয় হয়ে থাকে আমাদের এই কাজের মাধ্যমে এবং দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে পেরে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top