বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সমীক্ষা অনুযায়ী, স্থূলতা, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। কী বৃদ্ধ, কী তরুণ- সবারই আছে হৃদরোগের ঝুঁকি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ধূমপান, মাদকাসক্তিসহ নানা কারণে হৃদরোগ হতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা পেতে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়। চিকিৎসকদের দৃষ্টিতে কীভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানো যায় চলুন জেনে নেয়া যাক-
১. হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে সবার আগে ধূমপান একেবারে ছাড়তে হবে। ধূমপান ও তামকজাত দ্রব্য হৃদরোগের অন্যতম বড় কারণ। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে মদ্যপানও।
২. যার ওজন যত বেশি, তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত, তা জেনে নিন। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের ওপর নজর দিন। কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমাতে হবে, খেলেও রিফাইন্ড কার্বোহাইট্রেট অর্থাৎ, সাধারণ পাউরুটির বদলে ব্রাউন ব্রেড, ময়দার রুটির বদলে আটার রুটি খেতে পারেন। ডায়েটে বেশি করে শাকসবজি ও ফল রাখতে হবে। তবে একবারে না খেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খান। বাইরের খাবার নয়, বাড়িতে তৈরি খাবার খান। ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেডমিট এড়িয়ে চলুন। খাবারে লবণ ও চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনুন।
৩. সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন শরীরচর্চা করতেই হবে। সাতদিন করতে পারলে খুব ভালো। ভারী শরীরচর্চা না করলেও রোজ অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা দ্রুত গতিতে হাঁটতে পারেন। সঙ্গে কিছু হালকা ব্যায়াম করলেও হবে।
৪. পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণে কমবেশি সবাই মানসিক চাপে থাকে। এতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। সেই সঙ্গে উচ্চরক্তচাপ, বেশি খাওয়া, ধূমপান, ঘুমের সমস্যা, ক্লান্তি দেখা দেয়। সেই জন্য কোনো ধরনের মানসিক চাপ বা উদ্বেগকে প্রশ্রয় না দেওয়ার চেষ্টা করুন। মনঃসংযোগ বাড়াতে ধ্যান করতে পারেন। বই পড়া কিংবা গান শোনার অভ্যাস থাকলে, সেগুলিও চাপমুক্ত করতে সহায়তা করে। কাজের সময় বেঁধে দিন। অফিসের কাজ বাড়ি বয়ে আনবেন না। অবসরে নিজের পছন্দের কাজ যেমন ঘুরতে যাওয়া, ছবি তোলা, সিনেমা দেখার ওপর জোর দিতে পারেন।
৫. রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলেও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ঠিকমতো ঘুম না হলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো মতো হয় না। শরীর তখন স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।