মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা নিঃসন্দেহে সরকারের ইশারাতেই হয়েছে। দেশব্যাপী সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন-নিপীড়নের ফলে গণমাধ্যমসহ দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গভীর রাতে একজন সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নেয়া সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের নিপীড়নমূলক আচরণে আবারও প্রমাণ হলো দেশে গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই।
তিনি আরো বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ধরার স্টাইলে কোনো বাহিনীর পরিচয়ে রাতের অন্ধকারে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া একাত্তরের বর্বর হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে। সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নেয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তাকে তুলে নেয়ার ঘটনায় ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে সরকার বন্দুকের জোরে মানুষের প্রতিবাদকে স্তব্ধ করে দিতে চায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বলা যাবে না, অভাবের কথা বলা যাবে না, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা বলা যাবে না, ভোট ডাকাতির কথা বলা যাবে না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না। সরকার দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।