মির্জা ফখরুল
একটি দানবীয় দুঃশাসন আমাদের উপর চেপে বসেছে, এদেরকে অবিলম্বে সরাতে হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেজন্য সমস্ত দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করছেন। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ভয়াবহ দানবীয় সরকার, এই ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নওগাঁয় একজন সাধারণ মহিলা যিনি চাকরি করছেন তার সন্তানদেরকে মানুষ করছেন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন তারা অস্বীকার করছে। র্যাবের উপর স্যাংশন দেওয়া হয়েছিল আমরা কেউ আনন্দিত হইনি লজ্জিত হয়েছিলাম।স্যাংশন দিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, র্যাবের ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) কেন দেয়া হয়েছিল? আমাদের দেশের এই সরকার যারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় তাদের বেআইনি আদেশ পালন করতে গিয়ে এই ঘটনাগুলো ঘটে ঘটেছিল। স্যাংশন দেয়ার পরে ওই কর্মকর্তা বা র্যাবের বিরুদ্ধে এই সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে তারা প্রশ্রয় পেয়েছে ও একটির পর একটি হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে গেছে।
ফখরুল বলেন, আন্দোলন শুরু করেছি, আমাদের এ আন্দোলন ভাত কাপড়ের, খাবারের আন্দোলন, আমাদের অধিকারের আন্দোলন, আমাদের বেঁচে থাকার আন্দোলন, আমাদের ভোটের অধিকারের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মীকে রাজপথে প্রাণ দিতে হয়েছে। ৩৫ লক্ষ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ৬০০ অধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, হাজারো নেতা কর্মীকে বিচার বহির্ভূত বৈধভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে এই সরকার যারা নির্বাচিত নয় তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে রয়েছে। গত এক যুগের উপরে এদেশের মানুষকে হত্যা নির্যাতন গুম খুনের মাধ্যমে দমন করে রেখে এক দলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলেস সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, নিতাই রায় চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান খোকন, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।