সকল মেনু

বিক্ষোভে উত্তপ্ত ফ্রান্স, ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে রাস্তায় লাখো বিক্ষোভকারী

পেনশনের বয়সসীমা ৬২ বছর থেকে ৬৪ বছর করার জেরে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আবারো ফ্রান্সে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে এদিন রাস্তায় নামেন লাখ লাখ মানুষ। ফরাসি ইউনিয়নগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ যোগ দেন। এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীরা গাড়িসহ বিভিন্ন অবকাঠামোয় অগ্নিসংযোগ করেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আট লাখ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বলে দাবি করেছে ফরাসি ইউনিয়ন। পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে দক্ষিণ-পূর্ব দিকের বোর্ডো শহরে আগুন, ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। বোর্ডোর সিটি হলের প্রবেশপথে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। অপরদিকে রাজধানী প্যারিসে মধ্য রাতের পর পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।

বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে ফ্রান্সের তরুণরাই যোগ দিয়েছিলেন। পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধির কারণে তারা বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। হঠাৎ করে এদিন আবার পুরো দেশে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর একটি ভাষণের পর। বুধবার প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘এই বিক্ষোভ বৈধ। তবে বিক্ষোভের কারণে সিদ্ধান্ত বদল করা হবে না।’

পেনশনের বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ বছর করা হয়েছে মানে চাকরিজীবীদের চাকরির মেয়াদ আরো দুই বছর বেড়েছে। ম্যাক্রোঁ সরকারের এই সিদ্ধান্তে তরুণ ও বৃদ্ধসমাজ উভয়েই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। জুলিয়েট নামের ৫১ বছর বয়সী এক স্কুল শিক্ষিকা বলেছেন, ‘তারা আজ এটি ৬৪ বছর পর্যন্ত বাড়াতে চায়। কাল কী ৬৬, ৬৭, ৬৮ বছর হবে? তারা বলছে গড় আয়ু বেশি। কিন্তু আমাদের কী সমাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ করে যেতে হবে?’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top