সকল মেনু

প্রেমিককে ভাগিয়ে ছাত্রীকে নির্যাতন, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় ১৪ বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রীক ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরিফ খান (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সালথা থানার ওসি। এর আগে ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রীর মা বাদী হয়ে সালথা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আরিফ উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আহম্মদ খানের ছেলে। পেশায় কৃষক ওই যুবক এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।

ভুক্তভোগী ওই মাদরাসাছাত্রী বলেন, উপজেলা সদরের এক ছেলের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমার পরিবারের সবাই এ বিষয়ে অবগত। গত সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই ছেলে আমাদের বাড়ির পাশে এসে আমার সাথে গল্প করছিল। এ সময় অভিযুক্ত আরিফ ও তার দুই সহযোগী মারুফ মাতুব্বর (২১) এবং ইমন মাতুব্বর (২২) আমার প্রেমিককে মারধর করে ভাগিয়ে দেয়। পরে আমাকে জোরপূর্বক পাশের গমক্ষেতের আইলে নিয়ে ধর্ষক করে আরিফ খান। এসময় মারুফ আর ইমন সেখানেই পাহাড়ায় ছিল। ঘটনার সময় আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি পরিবারকে জানালে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। অভিযুক্ত আরিফের সহযোগী মারুফ রামকান্তপুর গ্রামের মোহন মাতুব্বরের ছেলে ও সালথা কলেজের ছাত্র এবং ইমন একই গ্রামের আবু মাতুব্বরের ছেলে ও ভ্যানচালক।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মেয়েটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলার পর প্রধান অভিযুক্ত আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকি বিষয়গুলো আইনগত প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top