প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ এখন শতভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবার হাতে হাতে এখন মোবাইল ফোন। কে দিয়েছে এই মোবাইল ফোন? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই মোবাইল ফোন দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ওয়াই-ফাই এসেছে। এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একজন মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। আমাদের এটাই লক্ষ্য ছিল। আর আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। গৃহহীন বা ভূমিহীন মানুষ এখন একটা ঠিকানা পাচ্ছে-এর থেকে বড় কাজ আর কিছু হতে পারে না।

তিনি বলেন, ওদের ক্ষমতা থাকা মানেই মানুষকে শোষণ করা, বঞ্চনা করা। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে উপহার দেয় উন্নয়ন। আমরা আজ শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আমরা নতুন নতুন স্কুল করেছি। ২৬ হাজার নতুন প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করেছি। আজকে আমাদের স্বাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত তখন লুটপাট, বোমা হামলা, জঙ্গিবাদ মানুষ হত্যার মতো কাজ করে। তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। বিএনপির ক্ষমতা থাকা মানে নির্যাতন, লুট করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন উপহার দেয় আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নির্যাতন করে।

জনসভায় খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নাকি মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি শুধু অঙ্ক আর উর্দুতে পাস করেছেন। উর্দু পাকিস্তানের ভাষা- এটা তার খুব প্রিয় ভাষা। আর অঙ্ক তো টাকা গোণা লাগে- ওই দুইটাতেই পাস করেছেন, আর কোনোটাতে পাস করতে পারেনি। জিয়াউর রহমান ছিল মেট্রিক পাস। তাদের ছেলে একবার এই স্কুল ওই স্কুল শেষ, কী পাস করেছে কেউ জানে না।

দুপুর আড়াইটার দিকে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বেলা চারটার দিকে নেতাকর্মী সমর্থকে কানায় কানায় পূর্ণ জনসভাস্থলে বক্তব্য দিতে ওঠেন শেখ হাসিনা। বক্তব্যের শুরুতে ময়মনসিংহ বিভাগের ৭৩টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার মাসে এগুলো সরকারের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহবাসীর জন্য উপহার হিসেবে জ্ঞাপন করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ময়মনসিংহ বিভাগ করা হয়। ময়মনসিংহে মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।