স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখি ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে নারী পুরুষের কোনো বৈষম্য ও বিভাজন ছিল না। ইসলাম ধর্মেও নারীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেশি শক্তির জোরে পুরুষরা একসময় দুনিয়া শাসন করলেও বর্তমানে মেধা ও বুদ্ধিমত্তার যুগ।

তিনি বলেন, আমাদের নারীরা কোন অংশেই পুরুষদের থেকে পিছিয়ে নয় বরং মানবিক অনেক গুনাবলিতে নারীরা পুরুষদের থেকে অনেক এগিয়ে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ আত্মনির্ভরশীল নারী সম্মাননা পুরস্কার প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে কর্মরত নারী প্রকৌশলীদের সক্ষমতার উদাহরণ দিয়ে বলেন, একটা সময় প্রকৌশল শুধুমাত্র পুরুষদের পেশা হিসাবে থাকলেও নারীরা আজ প্রকৌশল বিদ্যায় সমান পারদর্শী মন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে নারীরা আজ শুধু প্রকৌশল বিদ্যায় নয়, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার কিংবা বিচারপতি থেকে শুরু করে সমাজে সমীহ করা সব পেশায় তাদের পদচারণা ও দক্ষতা নিশ্চিত করেছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মরত সব নারীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, নারীরা শুধু কর্মক্ষেত্রেই তাদের দায়িত্ব পালন করেন না, নারীরা মা, স্ত্রী ও বোনের দায়িত্বও পালন করেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, পুরুষ বিশ্রামের অবকাশ পেলেও কর্মজীবী নারীরা সেই সুযোগও ঠিকভাবে পান না।

দেশ গড়ার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ উভয়েরই সমান ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশটা আমাদের সবার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবো।

এসময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চাকরি ক্যাডারভুক্ত করণের দাবির বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তিনি সময় ও সুযোগমত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করবেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।