হটনিউজ ডেস্ক:
প্রায় ২৫ বছর পর আগামীকাল মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে সেখানে সাজ সাজ ভাব বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক আয়োজনে ব্যস্ত। আনন্দ বিরাজ করছে সে এলাকার মানুষের মনেও।
এর বাইরেও যে বিষয়টি জানা যাচ্ছে তা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের সন্তান বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ গ্রহণ করছেন।
জানা যায, প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে স্থাপিত সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন। আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণও দেবেন। পাশেই রাষ্ট্রপতির বাড়ি। সেখানে দুপুরে মেহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি নিজেও। একদিন আগেই রাষ্ট্রপ্রধানের নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির সন্তান, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে এই প্রথমবারের মতো আসছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি আমাদের বাড়িতে মেহমান হবেন, এতে আমরা খুবই খুশি। উনাকে বরণ করে নিতে ও আতিথেয়তা জানাতে আমাদের পরিবারের সবার মনে এক ধরনের আলাদা আমেজ বিরাজ করছে, আবেগও কাজ করছে। ’
তিনি জানান, মিঠামইন এলাকার হাওরের ২০ ধরনের মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুপুরে আপ্যায়ন করা হবে। এই মাছগুলো যেন তাজা হয় সেজন্য আজকেই হাওর থেকে ধরা হচ্ছে; তবে রান্না হবে আগামীকাল। একই সঙ্গে হাওর এলাকার স্থানীয় জনপ্রিয় খাবারগুলো পরিবেশন করা হবে। বিশেষ খাবার হিসেবে থাকবে অষ্টগ্রামের বিখ্যাত সুস্বাদু ‘পনির’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরই অষ্টগ্রামের পনির পছন্দ করেন। সেই পনির গণভবনে মাঝে-মধ্যেই পাঠানো হয়। এবারও এই পনির গণভবন পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রিয় খাবার পাবদা, রুই, বোয়াল মাছ। এগুলোরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সাদা ভাত এবং পোলাও দুটোরই ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি থাকবে স্থানীয় খাবারেরও আয়োজন। রান্নাবান্নার কাজ করবেন স্থানীয় বাবুর্চিরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৪ এপ্রিল বিদায় নেবেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। ইতোমধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাই রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে বিদায়ের আগে সরকারপ্রধানকে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নিজের বাড়িতে আপ্যায়ন করাতে চান রাষ্ট্রপতি। তবে প্রধানমন্ত্রীর মূল কর্মসূচি ক্যান্টনমেন্ট উদ্বোধন এবং জনসভার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কর্মসূচির কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রধানমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে যাচ্ছেন বলেই রাষ্ট্রপতি দুপুরবেলা তার বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।