রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

“আশ্রায়ণ প্রকল্প” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি সরকারি প্রকল্প যার মাধ্যমে ভ‚মিহীন ও গৃহহীন এবং যার জমি আছে ঘর নেই এমন পরিবারের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হয় সারাদেশে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় ৫৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

ইতি মধ্যে ধাপে ধাপে ৪৩০টি ঘর পেয়েছে উপকারভোগী পরিবার। আরোও ১২০টি ঘর প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাংশা উপজেলায় আশ্রায়ন প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১০০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আশ্রায়ন প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩০টি, দ্বিতীয় ধাপে ১০০টি, তৃতীয় ধাপে ২০০টি ও চতুর্থ ধাপে ১১০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আশ্রায়ন প্রকল্প চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ১০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

৫৫০টি ঘরের মধ্যে উপজেলার সরিষা ইউনিয়নে ২২৮টি, পাংশা পৌরসভার মধ্যে ১০২টি, কসবামাজাইল ইউনিয়নের ৪৯টি, কলিমহর ইউনিয়নে ৪৯টি, মৌরাট ইউনিয়নে ৪২টি, হাবাসপুর ইউনিয়নে ৩৫টি, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ১৫টি, যশাই ইউনিয়নে ১২টি, বাবুপাড়া ইউনিয়নে ১০টি ও মাছপাড়া ইউনিয়নে ৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. হেকমত আলী বলেন, উপজেলায় সর্বমোট ৫৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ৫৫০টি ঘরের মধ্যে ধাপে ধাপে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ৪৩০টি ঘর পেয়েছে উপকারভোগী পরিবার। বাকি ১২০টি ঘর নির্মাণ কাজ ইতি মধ্যে শেষ হয়েছে। ঘরগুলো প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী বলেন, এই ঘর নির্মাণ আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্চিং বিষয় ছিলো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা আমাদেরকে ব্যাপক সহযোগীতা করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক ভাবে তদারকির মধ্য দিয়ে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ সঠিক ভাবে সম্পুর্ণ করতে পেরেছি।

আগামী দুএক মাসের মধ্যেই ঘরগুলো সারাদেশে একযোগে উদ্বোধন করবেন মানোনীয় প্রধানমন্ত্রী। যে সকল উপকারভোগী পরিবার ইতি মধ্যে ঘর পেয়েছেন, ঘর পেয়ে তারা অনেকে সাবলম্বী হয়েছেন এবং মানোনীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।