সকল মেনু

মাদক সেবন ‘দেখে ফেলায়’ তরুণকে হত্যা!

হটনিউজ ডেস্ক:

কুমিল্লা নগরীতে মাদক সেবন ‘দেখে ফেলায়’ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ।

এর আগে নগরীর গোবিন্দপুর এলাকায় কাজী মনসুর বাড়ির সামনে শুক্রবার রাতে ওই তরুণকে ছুরিকাঘাত করা হয়। রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহত তরুণের নাম মো. রাজিব হোসেন (১৯)। তিনি নগরীর গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়ার কাজী ইউসুফ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। রাজিব রংপুরের বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা বিসিক শিল্পনগরীর এক কারখানার শ্রমিক ছিলেন।

এদিকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই এলাকার ভাড়াটিয়া ওই তরুণের নাম মো. রাব্বি (১৮)। রাব্বি মাদকসেবী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাব্বিকে মাদক সেবনের সময় দেখে ফেলে রাজিব। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাব্বি ও তার সহযোগীরা মিলে রাজিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গোবিন্দপুর এলাকার কাজী মনসুরের বাড়ির সামনে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়ার পথে রাত ১১টার দিকে রাজিব মারা যায়।

নিহতের ছোট ভাই রাকিব হোসেন বলেন, একই এলাকায় মাদক কারবারি ও মাদকসেবী রাব্বিসহ তার সহযোগীরা মিলে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে কাজীবাড়ির সামনে আমার ভাইকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগে আমার ভাইকে তারা সিগারেট খাওয়া নিয়ে মারধর করেছিল। মূলত আগের শত্রুতা ও শুক্রবার তাদের মাদক সেবন দেখে ফেলার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

শনিবার দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, অভিযুক্ত রাব্বিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা দুজনই একই এলাকার ভাড়াটিয়া। পূর্বশত্রুতা থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। নিহতের মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার নেপথ্যের কারণ জানতে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top