সকল মেনু

আমি নাকি মরে গেছি, এমন নিউজ হয়ছে : ওবায়দুল কাদের

হটনিউজ ডেস্ক:

অপপ্রচার ও গুজবের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা পড়াশোনা করবেন, খরব দেখবেন, পত্রিকা পড়বেন। কারণ কি পরিমাণ যে গুজব অপপ্রচার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মেরে ফেলছে। আমি নাকি মরে গেছি, এমন নিউজ হয়ছে! কি পরিমাণ গুজব-অপপ্রচার। এর বিরুদ্ধে জবাব দিতে হবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও গুজব অপপ্রচার করা হয়। এসব বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে জবাব দিতে হবে।

আজ বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়, বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে। এখন থেকেই নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। শীতবস্ত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মসূচিও আছে দলের। প্রতিটা সংগঠনের নেতাকর্মীদের কর্মসূচি দিতে হবে। তৃণমূল পর্যন্ত কর্মসূচি রাখতে হবো। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে না থাকলে বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করে জনগণের জানমাল ক্ষতি করবে, গণপরিবহন আগুনে পড়াবে, মানুষ হত্যা করবে, গাছ কেটে ফেলবে। তাই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে।
তৃণমূলে যেসব জেলার সম্মেলন হয়েছে সেসব জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক জেলার সম্মেলন হয়েছে। এখন কমিটি হয়নি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। অনেক নেতাকর্মীরা আছে, যাদের কোনো পদে নেই। সামনে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে হবে, তাই কমিটি না থাকলে কি বলে পরিচয় দেবে তারা। পকেট বাণিজ্য কিংবা স্বজনপ্রীতি করে কমিটি গঠন নয় কমিটি গঠন করতে হবে নিবেদিতদের নিয়ে। দলের পদ না থাকলে কেউ সালামও দেবো না।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল কবে সেক্রেটারি জেনারেল হয়েছে মনে আছে। যাদের ঘরেই গণতন্ত্রের চর্চা নাই তারা কি করে গণতন্ত্রের কথা বলে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে অথচ তারাই গণতন্ত্রহীন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ভোট চুরির জন্য এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানায়নি। এটা করেছে খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে ইলেকশন কমিশন বানায়নি। ইলেকশন কমিশন আইনের মাধ্যমেই গঠনকরা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নয়, আগামী নির্বাচনে বিএনপিরই ভরাডুবি হবে।

ওবায়দুল আরও কাদের বলেন, গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া, ত্রুটি মুক্ত নির্বাচন আমরাও চাই। ২১ বছর ধরে এদেশের গণতন্ত্র ছিল না। পঁচাত্তরের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। খালেদা জিয়ার শাসনামলে কোনো গণতন্ত্র ছিল না।

ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন নেতাকর্মী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top