সকল মেনু

চার ম্যাচে চার জয় মাশরাফিদের

হটনিউজ ডেস্ক:

‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে।’ প্রচলিত প্রবাদটি আরও একাবার প্রমাণ করে দেখাচ্ছেন মাশরাফি মর্তুজা। বল এখনও তার কথা শোনে। তিনি সতীর্থদের উদ্ধুব্ধ করতে পারেন। তার হাতে পড়েই নাজমুল শান্ত রান পাচ্ছেন। তরুণ ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় দুর্দান্ত খেলছেন। সব মিলিয়ে মাশরাফি মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স এবারের বিপিএলে শুরুর চার ম্যাচেই জয় পেয়েছে। মঙ্গলবার তারা ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়েছে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে।

দলের জয়ে ম্যাচ সেরা হওয়ার হ্যাটট্রিক করেছেন তৌহিদ হৃদয়। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নামে মাশরাফির দল। ওপেনার নাজমুল শান্ত এবং তিনে নামা তৌহিদ হৃদয় দারুণ ব্যাটিং করেন। শান্ত ফিরে যাওয়ার আগে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন তিনি। দলকে দেন ৮৮ রানের জুটি।

তিনে নামা তৌহিদ হৃদয় টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন। তবে ঢাকার বিপক্ষে ছিলেন পূর্বের চেয়ে বিধ্বংসী। তিনি ৪৬ বলে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে ফিরে যাওয়ার আগে পাঁচটি করে ছক্কা ও চারের শট দেখান। তার দল ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ২০১ রান।

জবাব দিতে নেমে শূন্য রান করে ফিরে যান ঢাকার ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ। তাকে তুলে নেন মাশরাফি। তিনে নামা সৌম্য সরকারকে ৬ রানে সাজঘরে ফেরান ম্যাশ। দলটির ওপেনার দিলশান মুনায়েরাও (১২) রান পাননি। তবে চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন ২৮ বলে ৪২ রানের ভালো ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক নাসির খেলেন ৩৫ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। তাদের জুটিতে আশা দেখছিল ঢাকা। কিন্তু ওই জুটি ভাঙতেই তিন বল থাকতে ১৩৯ রানে আলআউট হয়েছে নতুন মালিকানায় যাওয়া দলটি।

সিলেটের হয়ে মাশরাফি ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন। স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম ৪ ওভারে ২৪ ও মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। রেজাউর রহমান রাজা ছিলেন খুবই খরুচে। তিনি ৩ ওভারে দেন ৪৫ রান। তবে থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ঢাকার হয়ে আল আমিন ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া তাসকিন ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নে দুই উইকেট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top