সকল মেনু

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৩৫তম জিডিপির দেশ : তথ্যমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক:

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৪ বছরে মালয়েশিয়াসহ ২৫ দেশকে পেছনে ফেলে ৩৫তম জিডিপির দেশ বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে আমাদের সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশ ছিল ৬০তম অর্থনীতির দেশ ছিল। কিন্তু গত ১৪ বছরে আমাদের দেশ ৩৫তম অর্থনীতির দেশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে এবং বদলে যাচ্ছে।

আজ সোমবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের জহির রায়হান হলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া জিডিপির আকারে আমাদের চেয়ে ছোট অর্থনীতির দেশ, পাকিস্তান তো বটেই, আর কোনো কোনো সমীক্ষা মতে বাংলাদেশের অবস্থান পিপিপিতে ৩১তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যদি অব্যাহত থাকত তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এমন কি সিঙ্গাপুরের আগেই পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার গল্প শুনতো।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে এই খবরে দেশের গণমাধ্যমে যেভাবে প্রশংসা হওয়া দরকার আমি কিন্তু সেটা দেখছি না। যদি বাংলাদেশ কোনো সূচকে পিছিয়ে যায় তখন গণমাধ্যমে সেটি যেভাবে ফলাও করে প্রচার হয় কিন্তু অর্থনীতির আকার অনুযায়ী জিডিপির হিসাব অনুযায়ী আমরা যখন এগিয়ে গেলাম, সেটিও ফলাও করে প্রচার হওয়া প্রয়োজন।’

বিদেশি গণমাধ্যমে দেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা ঢাকায় মেট্রো রেল শুরু হওয়ার পর একটি ফিচারে লিখেছে- ঢাকার মেট্রো রেল আমাদের অনেক পরে শুরু হলেও আধুনিকতার দিক দিয়ে কলকাতার চেয়ে এগিয়ে। এবং তিন দশক পরেও কলকাতায় মেট্রো রেলে কোনো মহিলা চালক নেই। আর ঢাকার প্রথম মেট্রো রেল একজন মহিলা চালিয়েছে এবং ৬ জন চালক মহিলা। অর্থাৎ দেশের উন্নতির সাথে সাথে এখানে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মন্ত্রী বলেন, একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করলেও আমাদের স্বাধীনতা তখনও পূর্ণতা পায়নি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যিনি হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালির জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়ে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ শ্লোগান শিখিয়েছেন, এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে যার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনেই আমাদের স্বাধীনতা সত্যিকার অর্থে পূর্ণতা পেয়েছিল।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভিডিওতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান এক কোনায় বসে আছেন। আর ছেলে বঙ্গবন্ধু মুজিব জনতার কাছে। কারণ জাতির পিতা মুজিব তখন শুধু শেখ লুৎফর রহমানের সন্তান নন, তিনি জনগণের মুজিব। এটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু।

অনুষ্ঠানে বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top