সকল মেনু

পাহাড়ে ধান চাষ, সবুজের মাঝে দোলা দেয় ধানের শীষ

  Dhan-L20131007233432কক্সবাজার প্রতিনিধি, ৮ অক্টোবর:  রামু উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাহাড়গুলোতে ধান চাষ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে এ আবাদ দিন দিন বাড়ছে। পাহাড়ি চাষীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, পাহাড়ে ধান চাষ প্রচলিত পদ্ধতির (সমতল) চেয়ে অনেক সহজ। পাহাড়ে ধান চাষে কেবল সামান্য পরিমান ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলেই চলে। এতে অন্যান্য সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়না। স্বল্প পরিশ্রম করেই পাহাড়ে ধান চাষ করা যায় এবং রোগবালাই তেমন থাকেনা। যদিও ফলন তুলনামূলক কম হয়। এর পরও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বেশী হওয়ায় পাহাড়ে ধান চাষ করে লাভবান হওয়ার কথা জানালেন এখানকার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রামু উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা ধান চাষ করে আসছে। স্থানীয়ভাবে এ পদ্ধতিকে জুমচাষ বলা হয়। পুরো উপজেলায় বর্তমানে প্রায় দুই শত একর পাহাড়ি জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। তবে এবার ধান চাষের পরিমাণ বাড়তে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের থিমছড়ি, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ঘিলাতলী, তুলাতলী, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা, গুদামকাটা, নাপিতেরঘোনা, গনিয়াকাটা, ঈদগড় ইউনিয়নের হাসনাকাটা, রাজারকুল ইউনিয়নের চৌকিদার পাড়া, ছাগলিয়াকাটা, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের মিতারচর, জুমছড়ি, গোবরছড়া, নোয়াকাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জুম চাষ করা হয়েছে। জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন জানান, এ ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ৩০ একর পাহাড়ি জমিতে এবার জুম চাষীরা ধান চাষ করেছে। পাহাড়ে ধানের চারা রোপন করা হয় আমন মৌসুম শুরুর আগে জুন-জুলাই মাসে। ফলে এখানে অনেক আগেই ফসল ঘরে তুলতে পারেন চাষীরা। কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের গুদামকাটা ও গনিয়াকাটা এলাকায় জুম চাষ করছেন প্রায় অর্ধশত কৃষক। এখানকার জুমচাষী মৃত মোহাম্মদ বৈদ্যের ছেলে নুরুল ইসলাম ও মতিউর রহমানের ছেলে মো. ইসলাম প্রতিবছরের মতো এবারও পাহাড়ে ধান চাষ করেছেন। তারা জানান, আগের চাইতে এখন খরচ বেড়ে গেছে। এর পরও পাহাড়ে ধান চাষে পরিশ্রম কম, সার কম দিতে হয় এবং অতিবৃষ্টিতে ক্ষতি হয় না। তারা আরো জানান, পাহাড়ে কালাম পাইজাম জাতের ধান সবচেয়ে ভালো হয়।

কয়েকজন জুমচাষী জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সাথে তাদের সমন্বয় নেই। যে কারণে তারা আরো উন্নত ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদসহ প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রামু উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, রামুতে প্রায় দুইশত একর পাহাড়ি জমিতে ধান চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে এ পদ্ধতিতে ধান চাষ সহজ। রোগবালাইও কম হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top