সকল মেনু

যে কারণে জাহাজে আটকে ছিলেন মাহফুজ-বুবলী

হটনিউজ ডেস্ক:

পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপের বিভিন্ন লোকেশনে কয়েক দিন ধরে ‘প্রহেলিকা’ ছবির গানের দৃশ্য ধারণ হচ্ছে। শুটিং শেষে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সমুদ্রপথে কক্সবাজার ফিরছিল ইউনিট। সেখানকার একটি বিলাসবহুল জাহাজে মাহফুজ, বুবলীসহ কলাকুশলীরা ছবির পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর নেতৃত্বে কক্সবাজার ফিরছিলেন। বেলা আড়াইটায় সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসা সবাই রাত ১০টায় কক্সবাজার ফেরার কথা থাকলেও সবাই যখন ফেরেন, তখন সকাল ছয়টা।

পরিচালক জানান, মধ্যসাগরে আমরা আটকে আছি টানা পাঁচ ঘণ্টা। রাত ৯টা থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমরা ‘প্রহেলিকা’ টিম কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের এমভি বে ওয়ানে আছি মাঝসমুদ্রে। দূর থেকে দেখেছি, ভাটার কারণে আমাদের শিফট করে নিয়ে যাওয়ার জাহাজটার কী অবস্থা। কী যে যাচ্ছে সময়টা। সবাই ওপরওয়ালাকে ডাকছে। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও শাহাদাত সোহেল ভাইয়ের পারদর্শিতার কথা বলতেই হয়। কিন্তু আমাদের কাছে পুরোটাই অসম্ভব মিরাকল ছিল।

অভিনয়শিল্পী মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘মধ্যসমুদ্রে আমরা আটকা পড়ব, ভাবতেও পারিনি। যে পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছি, এমনটা নাকি কখনো হয় না। বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আমরা ফেস করছি। এমভি বে ওয়ান থেকে যে জাহাজ আমাদের কক্সবাজার নিয়ে যাবে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে সেটিও কাছে আসতে পারছিল না। সব মিলিয়ে ভয়ংকর একটা সময় গেছে।’

এ সময় জাহাজটির শত শত নারী ও শিশু যাত্রীদের পুরো রাত উপোস কাটাতে হয়েছে। এক হাজার ৩০০ যাত্রীকে পুরো রাত-দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে ওই জাহাজে। কম্পানিটির এমন অনিয়মজনিত পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জাহাজ পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত স্থানীয় প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠান।

জাহাজ কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি বাহাদুর ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি কোম্পানির পক্ষে ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছি, আর কোনো সময় আমাদের জাহাজে ট্রানজিট যাত্রী ওঠানামা করা হবে না। এমনকি নির্ধারিত নিয়মমাফিক জাহাজ চালানোরও অঙ্গীকারনামা দিয়েছি।’

টেকনাফের সঙ্গে প্রতিবছরের মতো ৮-১০টি পর্যটক জাহাজ বন্ধ থাকার সুযোগে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড কোম্পানি তিনটি জাহাজ নামিয়ে পর্যটকদের দ্বীপে আনা-নেওয়ার কাজে নেমে পড়ে। কয়েক মাস ধরে কক্সবাজারের বাকখালী নদীর বিআইডাব্লিউটি নৌ ঘাট থেকে কর্ণফুলী নামের জাহাজটি চলাচল শুরু করে দ্বীপের সাথে।

এমভি বারো আউলিয়া নামের অপর একটি জাহাজ নিয়ে কক্সবাজারের নৌ ঘাট থেকে মাঝসাগরে যাত্রীদের সেন্ট মার্টিন যাতায়াতকারী জাহাজে যাত্রীদের ট্রানজিট কাজে নিয়োজিত থাকে।

অন্যদিকে একই কোম্পানির মালিকানাধীন বিলাসবহুল হিসেবে পরিচিত বে-ওয়ান নামের আরেকটি জাহাজ চলাচল করে চট্টগ্রাম থেকে দ্বীপে।

এসব বিষয় নিয়ে কর্ণফুলী শিপইয়ার্ডের কক্সবাজারে কর্মরত প্রতিনিধি বাহাদুর ইসলাম বলেন, ‘জাহাজগুলোর যাতায়াতে অনিয়ম হচ্ছে এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। বাস্তবে জোয়ার ভাটাসহ যাত্রীদের দুইবার করে ওঠানামার কারণেই যাতায়াতে বিলম্ব হচ্ছে। মঙ্গলবারের ঘটনাটি আকস্মিক সাগর উত্তাল হওয়ার কারণেই বিলম্ব এবং যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top