হটনিউজ ডেস্ক:
ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর গ্রামে ছেলের ছুরির আঘাতে পিতা কিবরিয়া ফকিরের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিবরিয়া ফকির ছিলাধরচর গ্রামে মৃত আদেল ফকিরের ছেলে।
নিহত কিবরিয়া ফকিরের ভাই দেলোয়ার ফকির বলেন, পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে ছেলে নাইম ফকির (২০) তার পিতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে।
আর এ কারণেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে নাইম পলাতক রয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎক জানান, নিহত কিবরিয়ার গলায়, ঘাড়ে, পিঠে, কানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত কিবরিয়া ফকিরের ভাগিনা ইসরাফিল বেপারী জানান, তার মামা কিবরিয়া ফকিরের সঙ্গে তার মামী তাছলিমা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। শনিবার রাতে আবারো ঝগড়া হলে মায়ের পক্ষ নিয়ে নাইম তার পিতাকে কুপিয়ে আহত করে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পিতা হত্যার অভিযোগে পুত্র নাইমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।